সরকারকে বিদায় করতে জনগণ রাস্তায় নেমেছে: মোশাররফ
সরকারকে বিদায় করার জন্য জনগণ রাস্তায় নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মামলা নির্যাতন করে আপনারা মনে করেছিলেন বিএনপিকে ঘরে বসিয়ে দেবেন। বিএনপি এবং দেশের জনগণ প্রমাণ করেছে তারা বসে যায়নি। বরং আপনাদের বিদায় করার জন্য রাস্তায় নেমেছে।
মঙ্গলবার বিকাল সোয়া ৩টায় গাবতলীতে ঢাকা উত্তর বিএনপির পদযাত্রার পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এরপর মাজার রোড হয়ে মিরপুর ১০ নাম্বর গোলচত্বরে গিয়ে বিএনপির এই পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) এদেশের কোনো মেরামত করতে পারবে না। তাদের যত দ্রুত সম্ভব বিদায় হবে এদেশের জনগণের জন্য ততই মঙ্গল। দেশের জনগণের মধ্যে ইস্পাত কঠিন ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারের বিদায়ের আন্দোলনে আমরা অগ্রসর হবো। অতি দ্রুত আমরা এই সরকারকে বিদায় দিতে সমর্থ হবো।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যতো রকমের হুংকার দেন না কেনো এদেশের জনগণ ইতিমধ্যে আমাদের সমাবেশগুলোর মাধ্যমে আওয়াজ তুলেছে, এই সরকারকে তারা আর দেখতে চায় না। কেনো দেখতে চায় না- এই সরকার বার-বার গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল।
মোশাররফ বলেন, যারা গণতন্ত্র হত্যাকারী, যারা ভোটাধিকার হরণকারী, চোর তাদেরকে কেউ আর ভোট দিতে চায় না। সেজন্যই আজকে আওয়ামী লীগের ভয়। এই আওয়ামী লীগ গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকে আমাদের অর্থনীতিকে তছনছ করে দিয়েছে। কেন এটা আপনারা সকলেই জানেন তাদের দুর্নীতি, মেগা প্রজেক্টের নামে দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং দেশের টাকা বিদেশে পাচার।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা লুট করার জন্য বিদ্যুতের দাম, পানির দাম, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকার দেশের মানুষকে বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস দিতে পারছে না। এজন্য দেশের মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ হচ্ছে তারা আজকে আমদানি করতে পারছে না। দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, আওয়ামী লীগের সিন্ডিকেটের লোকেরাই এই কাজগুলো করছে। তারা বিদেশে টাকা পাচার করে এদেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছে। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ঢাকা উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় পদযাত্রা কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজিমুদ্দিন আলম, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সদস্য সচিব মোস্তফা জগলুল পাশা পাপেল, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে গত শনিবার রাজধানীর বাড্ডা থেকে রামপুরা হয়ে মালিবাগ হোটেল পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এরপর সোমবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে শ্যামপুর পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। বুধবার মুগদা থেকে মালিবাগ পর্যন্ত পদযাত্রা করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। প্রতিটি পদযাত্রা বেলা ২টায় শুরু হবে।