সম্মান ধরে রাখতে দোয়া চাই : প্রধানমন্ত্রী
প্রতিবদেক : সাউথ সাউথ পুরস্কারের মাধ্যমে জাতিসংঘ যে সম্মাননা দিয়েছে তা ধরে রাখতে দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ দোয়া চান।
তিনি বলেন, এ সম্মান আমার একার নয়। ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে যারা মহাজোট সরকারকে বিজয়ী করেছে, এ সম্মান তাদের প্রাপ্য।
২০২১ সালের মধ্যে দেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সর্বক্ষেত্রেই অর্থায়ন হয়েছে। শিক্ষাসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাতে অর্থায়ন বাড়ানো হয়েছে। যখন যে দেশে যাচ্ছি সেদেশের সরকারপ্রধানই বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। আমি চাই, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের যে সম্মান অর্জিত হয়েছে তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন দেশে বিদ্যুত্সহ নানা সমস্যা বিরাজমান ছিল। বাংলাদেশ সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত ছিল। এখন এ ধরনের কোনো সমস্যা নেই। সর্বক্ষেত্রেই যথেষ্ট উন্নয়ন-অগ্রগতি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিকিত্সাসেবাসহ সব ধরনের সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। যারা ভোট দিয়ে জনগণের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই। মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে বলেই দেশের এ উন্নতি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রক্তের বন্যায় যে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা বৃথা যেতে দেব না। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
দারিদ্র্যবিমোচনের জন্য কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাউথ সাউথ সম্মাননা দেয় জাতিসংঘ। গত ২২ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা আট দিনের সরকারি সফরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যান। গতকাল বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তিনি হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন। এ সময় দলের সিনিয়র নেতা, বিশিষ্ট নাগরিক এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠনিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে গণভবনের দিকে রওনা হন। ভিআইপি গেট দিয়ে বের হওয়ার সময় তিনি গাড়িতে দাঁড়িয়ে রাস্তার দুপাশে থাকা নেতাকর্মীদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বিমানবন্দরের সামনে সড়ক থেকে শুরু করে ফার্মগেট পর্যন্ত রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে নাকাল হয় সাধারণ মানুষ।
এদিকে জাহাঙ্গীর গেট থেকে শুরু করে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।