প্রতিবেদক:
রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য হরতাল প্রত্যাহার করে গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল প্রত্যাহার না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী সমকালকে একথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বিরোধীদলীয় নেতাকে হরতাল প্রত্যাহার করে গণভবনে আমন্ত্রণ দেয়ার পরও তিনি হরতাল প্রত্যাহার না করায় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১৮ দলের সমাবেশে বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাদের নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়ের প্রাথমিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সমাবেশে খালেদা জিয়া নির্বাচনকালী সরকার নিয়ে সংলাপে বসার জন্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে শনিবার পর্যন্ত সময় দিয়ে রোববার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতালের ডাক দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সরকারকে দুই দিন সময় দিলাম। দুই দিনের মধ্যে সংলাপে বসুন।” তিনি বলেন, “আন্দোলনও চলবে; আলোচনাও চলবে। আর আলোচনায় না আসলে শুধু আন্দোলন চলবে।”
এরপর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতার সঙ্গে আলাপ করার জন্য শনিবার দুপুরে একাধিকবার বিরোধীদলীয় নেতাকে টেলিফোন করেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ। পরবর্তীতে সন্ধ্যায় প্রায় ৪০ মিনিট দুই নেত্রীর মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ইকবাল সোবহান বলেন, “গত শুক্রবার বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ভাষণে সংলাপের জন্য যে আহ্বান জানিয়েছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী আজ সংলাপের জন্য টেলিফোনে আহ্বান জানান।”
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংলাপের প্রস্তাবকে মর্যাদা না দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন। শনিবার বিভিন্ন স্থানে যে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। হরতাল প্রত্যাহার না করে বিরোধী দলীয় নেতা সহিংসতার পথ বেছে নিলেন।”
বিরোধীদলীয় নেতা হরতাল প্রত্যাহার না করায় প্রধানমন্ত্রী দুঃখ পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তার তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।