সন্ত্রাস সৃষ্টি করলে কোথাও সমাবেশ করতে দেয়া হবে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রেমানন্দ ঘরামী, বরিশাল ॥ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করলে বিরোধী দল বিএনপিকে দেশের কোথাও সভা-সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। অপরাধ করলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন বাঞ্চালের চেষ্টা যারা করবে তাদেরকে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় বরিশাল নগরীর রুপতলীতে র্যাব-৮ এর নবনির্মিত কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বেধনী অনুষ্ঠান শেষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, আমি এখনো আশা করবো বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর যারা কুড়াল-খোন্তা নিয়ে মাঠে নেমে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির চেষ্টা করবে তাদেরকে রাষ্ট্রের সর্বাত্মক শক্তি দিয়ে প্রতিহত করা হবে। এ জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে আগেভাগেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ২৫ অক্টোবর দেশের বিভিন্নস্থানে কঠোর নিরাপত্তার বলয় গড়ে তোলা হবে। যারাই সন্ত্রাস করবে আইন শৃংখলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাবে। পাশপাশি জনগনের জানমাল রক্ষায় রাজধানী শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও বরিশালে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
সভায় বাংলাদেশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)’র মহাপরিচালক মোঃ মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বরিশাল র্যাব-৮ এর পরিচালক লে. কর্নেল ফরিদুল আলম। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি ডাঃ আব্দুর রহিম, জেলা প্রশাসক মোঃ শহীদুল আলম প্রমুখ। এছাড়া সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল জাহিদ ফারুক শামিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রেহেনা বেগম, বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু।
র্যাব-৮’র লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সরফরাজ জানান, নগরীর রূপাতলীতে ১০ একর জমির ওপর প্রায় ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত র্যাব কমপ্লেক্সে থাকবে দ্বিতল অফিস ভবন, ফোর্সের ব্যারাক, অস্ত্রাগার, ম্যাগজিন, ভিআইপি রূপ, ব্যাচেলর অব অফিসার্স মেস, মসজিদ, জিমনেশিয়াম, গ্যারেজ ও বিদ্যুত উপ-কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সুবিধাদী। বর্তমানে ১৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবনে রয়েছে রেস্টহাইজ ও অফিস ভবন এবং ৫ তলা বিশিষ্ট সৈনিক ভবন নির্মাণাধীন রয়েছে। মের্সাস এস.আর.আর এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বরিশাল র্যাব-৮’র যাত্রা শুরু হয়। নিজস্ব আবসন না থাকায় ওই সময় নগরীর রূপাতলীতে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অব্যহৃত বৃদ্ধাশ্রমে অস্থায়ী ভিত্তিতে কার্যক্রম শুরু করে র্যাব-৮। প্রতিষ্ঠার ৭ বছর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর রূপাতলী এলাকার নিজস্ব ঠিকানায় গেলেন র্যাব-৮’র সদস্যরা।