সকল দুর্নীতির বৈধতা নিচ্ছে সরকার : মির্জা ফখরুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য অনুযায়ী সরকারের বৈধতা নেই। নিজেদের মধ্যে কোন্দল শুরু হয়ে গেছে। দুর্নীতিকে বৈধতা দিচ্ছে। প্রতিদিন পদ্ম সেতুর ব্যয় বাড়ছে। মৌচাক ফ্লাইওভারে বাড়ানো অর্থ সরকার লুটপাট করছে। সকল দুর্নীতির বৈধতা দিচ্ছে সরকার। গতকাল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ফখরুল বলেন, সরকারের নিজেদের মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে গেছে। আজকেই এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রেস কনফারেন্স করে বলেছেন, প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এই সরকারের বৈধতা নেই, পার্লামেন্টের বৈধতা নেই। কারণ, তিনি খুব পরিষ্কার করে বলেছেন যে রায়ের বদৌলতে, যে রায়ের ওপর ভিত্তি করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা হয়েছিল, সেই রায়টি সংবিধান-সম্মত নয়। সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই তাদেরকেও সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে জবাবদিহি করতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদেরকে পরিবর্তন করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তা না হলে মির্জা আব্বাসের মুক্তি মিলবে না। সরকারকে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বাধ্য করতে হবে।
জিয়াউর রহমানের মাজার সরানো প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ জিয়া শুধু বিএনপির সম্পদ নয়, তার মৃত্যুর সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ তার জানাযায় শরিক হয়েছিলেন। তারা বিএনপির কর্মী ছিলেন না। তার কবরে হাত দিতে গেলে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়বে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেলসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর বিএনপি।
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এ জে ড এম জাহিদ হোসেন, সমাজকল্যাণ-বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভূইয়া, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুনির হোসেন, যুবদল নেতা রফিকুল ইসলাম মজনু।