সওয়াবের দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচীর আওতায় “টার্গেটিং আলট্রা পুওর-(টিইউপি)” প্রকল্পের উপকারভোগীদের মাঝে মোটিভেশনাল কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা “সওয়াব” (সোস্যাল এজেন্সি ফর ওয়েলফেয়ার এন্ড এডভান্সমেন্ট ইন বাংলাদেশ) -এর বিরুলিয়া, সাভারে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের অধীনে দারিদ্র বিমোচন “টার্গেটিং আলট্রা পুওর-(টিইউপি)” প্রকল্পের ১৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে লাইফ স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর উপর কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মসূচীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মো: নুরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন সওয়াবের চেয়ারম্যান মহোদয় এস এম রাশেদুজ্জামান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা পরিষদের সদস্য হাজী মো: সেলিম মন্ডল, সওয়াবের হেড অব যাকাত প্রোমোশন এন্ড ম্যানেজমেন্ট মো: আলম শরীফ, হেড অব এডমিন এন্ড এইচ আর মো: খোরশেদ আলম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো: নুরুল ইসলাম উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন যে, মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বি হতে হলে পরিশ্রম করতে হবে, অলসতা দূর করতে হবে এবং সবাইকে উন্নতির জন্য তার সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যেমন শাক-সবজি চাষ, হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল লালন-পালন করতে হবে এবং বাড়ির আশেপাশে যে খালি যায়গা আছে সেখানে বৃক্ষ রোপন করতে হবে। সর্বোপরি এগুলো যতেœর সাথে ও নিবীড় তত্ত¡াবধায়নের মাধ্যমে নিজস্ব শক্তি এবং সম্পদকে কাজে লাগিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হাজী মো: সেলিম মন্ডল সাভারে হতদরিদ্রদের মাঝে এই মহৎ কর্মসূচী গ্রহণ করার জন্য সওয়াবের চেয়ারম্যান মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এক্ষেত্রে তার এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির দারিদ্র বিমোচনের ক্ষেত্রে সওয়াবের গৃহীত পদক্ষেপকে আরো বেগবান করার লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সওয়াবের চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুজ্জামান বলেন যে, এই সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের নিজের পায়ে দাড়ানোর জন্যে সর্বপ্রথম প্রয়োজন তার মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ। জীবনে সফল হওয়ার জন্য যে সকল উপায় ও কলাকৌশল আছে তা আয়ত্ব করার ব্যাপারে পরামর্শ প্রদান করেন এবং সর্বদা তাদের যে নিজস্ব সম্পদ আছে সেটার যথাযথ ব্যবহারের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে সর্ব প্রথমে উপকারভোগীদেরকেই উদ্যোগী এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। বিশেষ করে অলসতা পরিহার করে এবং সমাজের সকল মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে পারস্পারিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা প্রদানের মাধ্যমে এই মহতি কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। সর্বোপরি উপকারভোগীদেরকে একটি দরদি সমাজ গঠনের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। একটি দরদি সমাজ তখনই গঠিত হবে যখন কোন ব্যক্তির মধ্যে আত্মোপলব্ধি, আত্মমর্যাদাবোধ, পরোপকারের মানসিকতা, সহনশীলতা এবং উদারতার মনোভাব থাকবে।