সংরক্ষিত নারী আসনের ২৪ শতাংশ প্রার্থী কোটিপতি : সুজন
ঢাকা, ১৮ মার্চ : সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) জানিয়েছে, দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের ৪৮ প্রার্থীর মধ্যে ২৪ শতাংশ কোটিপতি। তবে পুরুষ প্রার্থীদের চেয়ে ব্যতিক্রম হচ্ছে নারী আসনের প্রার্থীদের কারও বিরুদ্ধেই কোনো ধরনের মামলা নেই।
মঙ্গলবার রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজনের সহ-সমন্বয়কারী সানজিদা হক। বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি নারী ক্ষমতায়নের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত করছে বলে উল্লেখ করা হয়। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারী আসন নির্ধারণ করে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি জানায় সুজন।
দশম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ৫০ প্রার্থীর মধ্যে দুজনের প্রার্থিতা খেলাপির কারণে বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে থাকা বাকি ৪৮ জন প্রার্থীর তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন বলছে, ৪৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৪ শতাংশ কোটিপতি। এদের নিজ ও নির্ভরশীলদের নামে ন্যূনতম ১ কোটি টাকার ওপরে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এ ছাড়া ৪৮ প্রার্থীর মধ্যে ৬ জন ঋণগ্রহীতা।
সুজন জানায়, যেক্ষেত্রে প্রার্থীদের সম্পদের বিবরণ আছে, কিন্তু মূল্য উল্লেখ নেই, সেগুলো এই বিশ্লেষণ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। ঘোষিত-অঘোষিত সম্পদের বর্তমান মূল্য হিসাব করলে কোটিপতিদের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
সুজনের দাবি, সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের ৩৮ প্রার্থীর মধ্যে ১০ জন কোটিপতি। ৫ কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে নীলুফার জাফর উল্যাহর। তার নিজের ও নির্ভরশীলদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩৬ কোটি ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৬৭১ টাকা।
জাতীয় পার্টির মাহজাবিন মোরশেদের ৫ কোটি টাকার ওপরে সম্পদ রয়েছে। তিনি ও তার নির্ভরশীলদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১৯ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার ৪৪৪ টাকা।
সুজনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে জাতীয় সংসদে যেভাবে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচন হচ্ছে তাতে নারীর ক্ষমতায়ন হচ্ছে না বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।