সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বো না: ওবায়দুল কাদের

19/07/2023 5:51 pmViews: 2

mzamin

facebook sharing button
twitter sharing buttonwhatsapp sharing button

রাজধানীতে বিএনপি’র পদযাত্রার দিনে বর্ণাঢ্য শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ সময় দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পার্লামেন্টের বিলুপ্তি ও শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার প্রশ্নই ওঠে না। দেশে তত্ত্বাবধায়ক আর হবে না। দুনিয়ার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো শেখ হাসিনাও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধানের বাইরে এক চুলও নড়বে না আওয়ামী লীগ। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনের সড়কে শোভাযাত্রার পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ। ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য শেষে শোভাযাত্রাটি শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব হয়ে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।  ট্রাকে স্থাপন করা মঞ্চে বক্তব্য রাখেন নেতারা: এ সময়  ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন- বিএনপি’র পদযাত্রা না কি তাদের জয়যাত্রা, আর আওয়ামী লীগের বিদায় যাত্রা।

আসলে এ পদযাত্রা তাদের পরাজয় ও পতন যাত্রা। বিএনপিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কী দিয়ে গেছে- তত্ত্বাবধায়ক দিয়েছে? সরকারের পদত্যাগ, শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করেছে? পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথাও বলেনি। বিএনপি ইইউ থেকে পেয়েছে একটা হাঁসের ডিম, একটা ঘোড়ার ডিম। তারপর আমেরিকানরা আসার পর বিএনপি মনে করেছে আমেরিকানরা তত্ত্বাবধায়ক দেবে, সংলাপ করতেই হবে বলবে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাইবে। কিন্তু তারা এসে চলে গেল আর বিএনপিকে দিয়ে গেল আরও একটি ঘোড়ার ডিম। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কথা বলেন, মিথ্যাচার করে, বিষোদ্গার করেন- কোনো লাভ হবে না। আমরা ইইউ ও আমেরিকাকে বলেছি বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে আমরা শান্তি চাই। নির্বাচনের পরেও শান্তি চাই। বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক, কারণ তারা মনে করেছে ২০০১ থেকে ’০৬ সালের মতো দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বসাবে। বিএনপি’র সে আশার গুড়ে বালি। তত্ত্বাবধায়ক আদালত মেরে ফেলেছে। আমরা কিছু করিনি। দেশের উচ্চ আদালত করেছে। ওরা তো আইন, আদালত, বিচার মানে না, নিজের পক্ষে না হলে কিছুই মানে না।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, গায়ে পড়ে কারও সঙ্গে গোলমাল করবেন না। আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে, তারা কেন গোলমাল করবে! অন্যায় করলে তা দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে। আক্রমণ এলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। নিজেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য নেত্রী নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক চাই না। বিএনপি মার্কা নির্বাচন চাই না। সংবিধানে যা লেখা আছে সেটাই আমরা নির্বাচনে প্রয়োগ করবো। নির্বাচন কমিশন সেভাবেই বাংলাদেশে নির্বাচন করবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংবিধানের বাইরে এক চুলও আমরা নড়বো না। যত কিছুই করেন আওয়ামী লীগ হচ্ছে এ দেশের মাটি মানুষের পার্টি, বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার পার্টি, এ পার্টি কারও কাছে মাথা নত করে না। খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বিএনপি’র বিরুদ্ধে। চুরিচামারি, লুটপাট, হত্যা, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। কোনো ছাড় হবে না। মারামারি হুমকিতেও কাজ হবে না। আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথানত করবে না। বিএনপিকে শয়তানের দল দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের শয়তানের দল বিএনপি। বাংলাদেশের আরও ৩৬টা শয়তানের দলের মিল হয়েছে। তারা না কি রাষ্ট্র মেরামতে নেমেছে। মেরামত তো শেখ হাসিনা করেছেন। আপনারা তো চুরি করেছেন, খাম্বা দিয়েছেন। আর শেখ হাসিনা দিয়েছেন শতভাগ বিদ্যুৎ। এ সময় অন্যান্য দলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিএনপি’র ওপর ভর করে লাভ নাই। তারা ঘোড়ার ডিম ছাড়া কিছুই দিতে পারবে না। বিএনপি ভুয়া। ওদের জোট ভুয়া। তাদের পরাজয় অনিবার্য। তাদের পদযাত্রা বিফলে যাবে। এ সময় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দ্রুতই কমে যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ওপর ভরসা রাখুন দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি কমে যাবে। বিএনপি’র ওপর ভরসা করলে লাভ হবে না। তাদের কাছে ঘোড়ার ডিম ছাড়া আর কিছুই পাবেন না।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেন, দেশে শান্তি ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের এই বিশাল শান্তি সমাবেশ ও শোভাযাত্রার আয়োজন করতে হয়েছে। বিএনপি জামায়াতের অপরাজনীতি বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ বিরোধী। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা ফায়দা লুটতে চায়, উন্নয়নে আঘাত হানতে চায়, ব্যাহত করতে চায় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা। গণতন্ত্রকে ওরা হত্যা করতে চায়। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে।

Leave a Reply