সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হবে
ঢাকা: সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তিনি বলেছেন, ‘সংবাদপত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হবে। বিষয়টি আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত করতে পারবো বলে আশা করছি।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন সংক্রান্ত পরামর্শ সভা শুরুর আগে তিনি এ কথা জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অসহায় দুস্থ ও পঙ্গু সাংবাদিকদের জন্য সরকার ‘সাংবাদিক সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করবে। আগামী মন্ত্রিসভা বিষয়টি তুলতে পারবো। ক্যাবিনেট অনুমদন করে এটা আইন আকারে পাস হবে।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রের মালিকরা অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করবেন বলে জানিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে নিউজ প্রিন্টের শুল্ক ১০ শতাংশে থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া সরকার বিজ্ঞাপনের হার অনেক বাড়িয়েছে।’
গণমাধ্যমের ওপর হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমে কোনো হামলা হলে সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেল করতে হবে। গণমাধ্যমের ওপর হামলা নিন্দনীয়। গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্রের ওপর হামলা। কাজিই গণমাধ্যম তথা সাংবাদিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ওপর হামলা হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী মন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এবং দৈনিক আমারদেশ খুলে দিন। এসব হাউজের অনেক সাংবাদিক ঈদ করতে পারেনি। তারা বেকার হয়ে বসে আছেন। এসব চ্যানেল ও পত্রিকা খুলে দিলে আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।’
মিডিয়ার ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘দৈনিক সংগ্রামের প্রধান ফটক গুলি করে ছিদ্র করে দেয়া হয়েছে। আমরা সাগর-রুনীর হত্যার বিচার পায়নি।’
ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে ওয়েজ বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান এই সাংবাদিক নেতা।
সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীর কাছে ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরবো।’
তিনি বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশে অনেকে ক্ষুদ্ধ হতে পারেন। কিন্তু তার জবাব বোমা হামলা নয়। অর্থাৎ ভিন্ন মতা প্রকাশের কারণে কোনো মিডিয়ার ওপর হামলা করা যাবে না।’
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাংবাদিক নেতা ওমর ফারুক, সাবান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমুখ।