শোভন-রাব্বানীকে সরানো আরপিও ও গঠনতন্ত্রের লংঘন : রিজভী
শোভন-রাব্বানীকে সরানো আরপিও ও গঠনতন্ত্রের লংঘন : রিজভী
ছাত্রলীগের শীর্ষ পদ থেকে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানীকে পদচ্যুতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ও নিজেদের গঠনতন্ত্র লংঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যডভোকেট রহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সরিয়ে কোন আইনে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হলো? নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া আওয়ামী লীগের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্রের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী ছাত্রলীগ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মাত্র। এদিক থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে কোনো আদেশ-নির্দেশ দেওয়া বা তাদের ওপর হস্তপে করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা কেবল পরামর্শ দেওয়ার অধিকার রাখে। নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান আইন-কানুন সব লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের ওপর নগ্ন হস্তপে করছেন। আমরা এই আইন লংঘনের বিচার চাই।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ভঙ্গ করার কারণে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান রিজভী। আজ মঙ্গলবার বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, সকল নীতি মেনে ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অথচ সরকারের ইন্ধনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ছাত্রদলের কাউন্সিলে হস্তক্ষেপে করা হয়েছে। যা এই সরকারের অগণতান্ত্রিক রাজনীতির জ্বলন্ত উদাহরণ। আসলে বর্তমান সরকার তো অগণতান্ত্রিক। তারা তো গণতন্ত্রের পথে যাবে না। ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটা তাদের সহ্য হয় না। এজন্যই আদালতের আশ্রয় নিয়ে ছাত্রদলের কাউন্সিলে অস্থায়ী আদেশ ও ১০ নেতাকে শোকজ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো আত্মপ সমর্থনের সুযোগ না নিয়ে যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে রাতের অন্ধকারে আদালতের এই আদেশ বের করা হয়েছে তা থেকে প্রতীয়মান হয়, এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরকারের সর্বোচ্চ মহল জড়িত। এমনকি বিএনপি ও তার নেতাদের উপরে অন্যায্য ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে আদেশ জারি করা হয়েছে আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ না দিয়েই।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এমনকি শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের দায়িত্বে ছিলেন বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন নেতা। এখন যদি কেউ এই অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং শোভন-রাব্বানীর পদচ্যুতিকে চ্যালেঞ্জ করে ঐ একই ঢাকা চতুর্থ সহকারী জজ আদালতে একই ধারায় একটি ঘোষণামূলক মোকদ্দমা দায়ের করে, তবে বিএনপির ওপরে যেমন শোকজ ও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর একই রকম স্থগিতাদেশ এবং শোকজের আদেশ দিতে পারবে কি?