শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি করেন: তথ্যমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের জন্য রাজনীতি করেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করেন।’ শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘হাসুমণির পাঠশালা’ আয়োজিত সুচিশিল্প প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি (শেখ হাসিনা) মানুষকে ভালবেসে রাজনীতি করেন, উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে এখন আর কোনো মানুষ না খেয়ে থাকে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতার সাথে আপোষ করেননি। কারণ তিনি (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের মানুষকে ভালো বাসতেন। তাই ফাঁসির মঞ্চের কাছাকাছি গিয়েও তিনি আপোষ করেননি। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষমতার লোভে নয়, মানুষকে ভালোবেসে রাজনীতি করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করেছেন। ১৯৮১ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার আগে লন্ডনে এবং ইউরোপে রাজনীতি করেছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার পরেও শেখ হাসিনাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। তাকে বার বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দলকে সুসংগঠিত করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়েছেন। তার ওপর বার বার হামলা করা হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে এখন কেউ না খেয়ে থাকে না। এই দেশ এখন বিদেশে খাদ্য পাঠায়। আগে বিদেশ থেকে খাদ্য আনতে হতো। এখন দেশ থেকে কাপড় বিদেশে পাঠানো হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন দেখেন এবং তা বাস্তবায়ন করেন। শেখ হাসিনা শুধু রাষ্ট্রনায়ক নন, গণতন্ত্রের অপর নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বাঙালির মুক্তির ঠিকানা। তিনি বাঙালির স্বপ্ন পূরণের সারথি। আমাদের দেশ থেকে চিত্রকর্ম প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিল্পকর্মকে ধরে রাখতে হবে।’
সংগঠনের সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের ডীন অধ্যাপক নিসার হোসেন, রাজধানীর সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মঈনুদ্দীন খালেদ, অধ্যাপক জামাল আহমেদ, অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম, সুচিশিল্পী ইলোরা পারভীন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।