শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করায় ফিরোজ রশিদকে অব্যাহতি
জাতীয় পার্টিতে নাটকীয়তা চলছেই। শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ করায় হঠাৎ বহিষ্কার করা হলো দলের শীর্ষ দুই নেতাকে। কাজী ফিরোজ রশীদ ও সুনীল শুভ রায়কে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গতকাল দলটির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দলীয় গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাদের বহিষ্কার করেন।
এরপর নির্বাচনের মাঠে পিছিয়ে থাকা দলটির প্রার্থীরা সরে যেতে থাকেন মাঠ থেকে। নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সমালোচনা করতে থাকেন শীর্ষ নেতাদের। বুধবার ১১ বিজয়ী সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ গ্রহণের দিন বিক্ষোভ করেন। এ সময় চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নুর পদত্যাগ চেয়ে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ নিয়ে বেশ বিব্রত হয় দল। এই বিক্ষোভে কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, লিয়াকত হোসেন খোকাসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা নেতৃত্ব দেন।এই বিক্ষোভকে সংগঠিত করার অভিযোগেই বহিষ্কার করা হয় তাদের। বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বলেন, তাদের দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার তারা দু’জন মিলে এটার পরিকল্পনা করেছেন। ওখানে যারা উপস্থিত ছিলেন তারাই চেয়ারম্যানকে বলেছেন- তারাই এটা করেছেন।
অব্যাহতির প্রতিক্রিয়ায় তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া স্ট্যাটাসে বলেন, মিডিয়া সূত্রে জানতে পারলাম কা-চু পরিচালিত ‘জাতীয় পার্টি’ নামের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আমার কাছে এই অব্যাহতিপত্র কচুপাতার চেয়েও মূল্যহীন।
এদিকে ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ। যদিও এবার সমঝোতায় এই আসন না পাওয়ায় প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তিনি দলটির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মন্ত্রিসভায় উপমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মানবজমিনকে বলেন, আমি আপনাদের (গণমাধ্যম) মাধ্যমেই বিষয়টি জেনেছি। এই সিদ্ধান্তে মোটেও আশ্চর্য হইনি। তিনি (জিএম কাদের) যা করেছেন ভালোই করেছেন।