শীত এসেছে
শীত এসেছে
 হু-হু করে শরীর কাঁপে
হু-হু করে শরীর কাঁপে
 শরীর জুড়োয় উষ্ণ তাপে
 গরম-গরম ভাপা পিঠা
 নারকেলে পায়েস-মিঠা
 সঙ্গে নাড়ু ভাজা মুড়ি
 ঐ এসেছে শীতের বুড়ি—
 হেমন্তকে বিদায় দিয়ে পৌষ মাসেরই ডাকে,
 বাংলাদেশের হৃদয়জুড়ে শীত জড়িয়ে থাকে।
ঠান্ডা শীতল পরশ দিয়ে শীত এসেছে, চুপ
 চোখ ভরে তাই দেখব আমি নরম শীতের রূপ।
শীত-কুয়াশা রূপ ছড়াল পালংশাকের বুকে
 বরবটি, শিম, লাউয়ের ডগা নাচছে দারুণ সুখে।
 লাল টমেটো, কপি, আলু, সবুজ ধনে পাতা
 শিশির পেয়ে খুলল ওরা আপন রূপের খাতা।
শীতকালেতে কী অপরূপ গ্রামের বুকে নদী
 নদীর বুকে পালতোলা নাও দেখতে তুমি যদি
 রঙিন চাদর মাঝির গায়ে
 বৈঠা চালায় ডানে-বাঁয়ে
 কুয়াশারই বাধা ঠেলে হালের গরু হাঁটে
 চাষির সাথে যাচ্ছে গরু ফসলেরই মাঠে।
 ঘাসের বুকে শিশির হাসে
 পুকুর জলে পদ্ম ভাসে
 অল্প জলে শিং-মাগুরে লেজ নাচিয়ে মাতে
 শীত-কুয়াশা কানামাছি খেলছে আলোর সাথে।
 সূর্যটা কি উঠছে?
 পাখিরা কি ছুটছে?
 সরষে ফুলের হলুদ খেতে মৌমাছি কি জুটছে?
দেখব আরও এবার শীতে খেজুর গাছে হাঁড়ি
 তোমরাই থাকো ঢাকা শহর, যাচ্ছি গ্রামের বাড়ি।
 
 
















