শিগগিরই নারীরা পড়াশুনা এবং কাজে ফিরতে পারবে : তালেবান

05/09/2022 2:50 pmViews: 2

শিগগিরই নারীরা পড়াশুনা এবং কাজে ফিরতে পারবে : তালেবান

ইসলাম নারীদের পড়াশুনা, কাজ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার অনুমোদন দেয়। আর এসবের জন্য তথাকথিত নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে তালেবান। আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের এক বছরের মাথায় এমন বক্তব্য দিলেন তালেবানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শিগগিরই দেশটির নারীরা পড়াশুনা এবং কাজে ফিরতে পারবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটিকে তালেবানের মুখপাত্র সাদেক আকিফ মুহাজির বলেন, ইসলাম অবশ্যই নারীদের পড়াশুনা, কাজ এবং উদ্যোক্তা হওয়ার অধিকার দিয়েছে। যদি ইসলাম এগুলোকে বৈধ করে, তাহলে আমরা কে এগুলোকে নিষিদ্ধ করার। যদিও এক বছর পার হয়ে গেলেও আফগান নারীদের রীতিমতো গৃহবন্দী করেই রেখেছে তালেবান সরকার। এখনও হাইস্কুলে ফিরতে পারেনি দেশটির মেয়েরা। নারীদেরও বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি দপ্তরে কর্মরত নারীদের বলা হচ্ছে পুরুষ কাউকে তার পরিবর্তে চাকরিতে জয়েন করতে।

তালেবানের এসব আচরণের কারণে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও মিলছে না তাদের সরকারের। রয়েছে নানা নিষেধাজ্ঞাও।

১৯৯৫ সালে যখন তালেবান ক্ষমতায় এসেছিল, তখনও নারীদের বিরুদ্ধে নানারকম পদক্ষেপ নিয়েছিল গোষ্ঠীটি। গত বছর তালেবানের সঙ্গে এক চুক্তির পর আফগানিস্তান ছেড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে থাকা বিদেশি সেনারা। চুক্তিতে তালেবান প্রতিশ্রুতি দেয়, তারা নারীদের বিষয়ে উদার হবে এবং তাদের স্বাধীনতা অটুট থাকবে। কিন্তু কাবুল দখলের পর সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যায় সংগঠনটি। এক বছর পরেও পরিস্থিতির কোনো উন্নয়ন ঘটাতে পারেনি তারা। বরঞ্চ তালেবান কর্মকর্তারা বারবার বলছেন যে, নারীর ‘সম্মান’ রক্ষার্থেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

মুহাজির বলেন, এখনও অনেক মন্ত্রণালয়েই নারীরা কাজ করছেন। তবে আমরা সকল নারীর জন্য তাদের সম্মান রক্ষার মতো পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছি। আগে তারা যেই পরিবেশে কাজ করেছেন সেটি থাকা উচিৎ নয়। যদিও আফগান নারীরা অভিযোগ করছেন যে, তালেবান সরাসরি তাদের বরখাস্ত না করলেও তাদেরকে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এবং তাদের বেতনের সামান্য অংশ তাদেরকে দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply