শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিস্থিতি এখনো হয়নি : ওবায়দুল কাদের
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের পরিস্থিতি এখনো হয়নি : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকারের কাজে আস্থা রাখতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হলে সেটাও করা হবে। সরকার গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখুন। তিনি যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
শনিবার সকালে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় বিষয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লিফলেট বিতরণের আগে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলন শেষে ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন এবং মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
বিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করায় বিভিন্ন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পর শনিবার পশ্চিমবঙ্গেও সব স্কুল-কলেজ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশেও সেই দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে শনিবার ওবায়দুল কাদের বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের একটা দাবি এসেছে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে চিন্তাভাবনা নেই, এমন কিছু নয়। কারণ এখানে প্যানিকি করে কোনো লাভ নেই। তবে আমাদের এখানে বিষয়টা সেই পর্যায়ে আসেনি, নতুন করে সংক্রামিত হওয়ার খবর খুঁজে পাইনি। আমাদের এখানে বিষয়টি যদি খারাপভাবে মোড় নেয় বা স্কুল-কলেজ বন্ধ করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা করা হবে।
সরকারি-বেসরকারিভাবে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নজরদারি চলছে। বিশ্বের শতাধিক দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা এক দিকে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দেশবাসীর করণীয় সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়টি দেখছি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’
সরকারের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি সব কিছুতেই নন্দঘোষ সরকারকে দেখছে। সবকিছুতেই তারা রাজনৈতিক ইস্যু খোঁজার পাঁয়তারা করছে। আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করবো, সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানোর আগে নিজেরা নিজেদের ঘর সামলান। আপন ঘরেই আপনাদের অসুবিধা, সমস্যা। করোনার মতো ভাইরাস আপনাদের ঘরে-রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেদের ঘরের করোনা আগে প্রতিরোধ করুন। সরকারকে দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করুন।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সাড়া দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের প্রস্তাব এসেছে নরেন্দ মোদীর ওখান থেকে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সাড়া দিয়েছে। আমাদের এই ব্যাপারে যৌথ উদ্যোগ নিতে কোনো আপত্তি নেই।’
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, দলের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মেদ মন্নাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা গুলিস্তান এলাকায় করোনা ভাইরাস সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করেন।