ল্যাটিন আমেরিকায় পাঁচ দশকের মধ্যে ভয়াবহ বন্যা
৫০ বছরের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ প্যারাগুয়ে, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও ব্রাজিল। বন্যায় এ পর্যন্ত অন্তত ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আর গৃহহারা হয়েছেন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে তিনটি বড় নদী প্লাবিত হয়ে গেলে বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। প্যারাগুয়েতে বন্যা পরিস্থিতি সবচেয়ে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার কারণে দেশটিতে অন্তত ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বসতবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আর্জেন্টিনায় উদ্বাস্তু হয়েছে অন্তত ২০ হাজার মানুষ। ব্রাজিল ও উরুগুয়েতে আগামী কয়েক দিন শুকনো আবহাওয়া থাকলেও প্যারাগুয়ে ও আর্জেন্টিনায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে ও নদীর পানি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
প্যারাগুয়ের জাতীয় জরুরি বিভাগ বলেছে, এল নিনোর প্রভাবে বৃষ্টির মাত্রা ও তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যা দেখা দিয়েছে। গত মাসে জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড মেটোরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন’ (ডব্লিউএমও) বলেছে, গত ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারের ‘এল নিনো’ সবচেয়ে তীব্রতা নিয়ে হাজির হয়েছে। শনিবার আর্জেন্টিনা সরকার বলেছে, উত্তর আর্জেন্টিনার ২০ হাজার লোককে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে যেতে হবে। উরুগুয়ের জাতীয় জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, নয় হাজার লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
ঝড়বৃষ্টি ও বন্যায় আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়েতে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। এদিকে, টেক্সাসের ডালাস নগরীর কাছে ছোট শহর গারল্যান্ডে শনিবার টর্নেডোর আঘাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।
এবিসি ও সিএনএন জানায়, টর্নেডোটির আঘাতে ডালাসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ওই ছোট শহরের বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ যখন অতি সম্প্রতি আঘাত হানা প্রলয়ংকরী ঝড় ও বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে ঠিক সেই সময়েই শনিবার এই নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগটি দেখা দিল। এএফপি।
f