লোম বাছতে গিয়ে কম্বল উজাড় করতে চান না সিইসি
জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়ে আমাদের বলেছেন, উনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। এজন্য আমরা উনাদের ধন্যবাদ দিয়েছি। উনি বলেছেন, আমরা বলেছি নির্বাচনটা যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে ততই অধিকতর অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর মাধ্যমেই নির্বাচনে এক ধরনের ভারসাম্য গড়ে ওঠে, যার ফলে কাঙ্ক্ষিত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন তার উদ্দেশ্য অনেকটা অর্জিত হয়ে থাকে। সিইসি বলেন, এটাও উনারা বলেছেন, আমরাও স্বীকার করেছি যে, এটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটি। সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে উনারা খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছে, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে ১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন ১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। ব্যালটে হোক আর ইভিএমে হোক আমরা চেষ্টা করবো নির্বাচনটা যাতে শুদ্ধ হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারের তরফ থেকে কোনো নির্বাচনে হস্তক্ষেপ পাইনি। এটি হচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের যে সহায়তা এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি উনারা যদি একটা নিউট্রাল অবস্থানে থাকেন তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন ভালোভাবে করা সম্ভব হবে। আমাদের তরফ থেকে সরকারের ওপর চাপটা থাকবে। নেগেটিভ কোনো বিষয় যদি আমরা দেখি যে ঐকমত্য হয়েছে, তাহলে আমরা বিষয়টি দেখবো।
নির্বাচনটা ভালো হবে এটা আমরা দৃশ্যমান করতে চাচ্ছি। আমরা আশাবাদী সরকারের সদিচ্ছা থাকবে এবং মহাসচিবকে বলেছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা আপনাদের করতে হবে। ভালোভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেন তাহলেও নির্বাচনের শুদ্ধতা বিঘ্নিত হতে পারে।