রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এডিবির সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এডিবির সহায়তা চাইলেন অর্থমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, দরোহিঙ্গাদের মানবিক কারণেই আমরা আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। এখন তাদের নিজের দেশে ফিরিয়ে নিতে এডিবির সহায়তা চাই।’
গতকাল রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে এডিবির বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। বৈঠকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের আলোচনা অনেক ফলপ্রসূ হয়েছে। এডিবির প্রতিনিধিদল আমাদের গ্রামীণ উন্নয়ন ঘুরে দেখবেন। সেগুলো ভিজিট করবেন এবং রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তারা যেন জোরালো ভূমিকা রাখে। আমরা তাদের এ বিষয়ে সহায়তা করতে অনুরোধ করেছি। তারা বলেছে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশসহ এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এডিবির নির্বাহী পরিচালক ক্রিস পান্ডে বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে যারা অবস্থান নিয়েছে, তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে সহায়তা করা হবে। এডিবির উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবে।
‘কর আদায়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’
এদিকে একই দিন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে রাজস্ব সভায় অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা কর দেওয়ার যোগ্য কিন্তু কর দিচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। করযোগ্যদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে দেশ পিছিয়ে যাবে। এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় ভ্যাট, কাস্টমস ও আয়কর কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে রাজস্ব ঘাটতির ব্যাখ্যা দেন আয়কর, কাস্টমস ও ভ্যাট অনুবিভাগের কর্মকর্তারা। এর জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব ঘাটতির যেসব কারণ দেখানো হয়েছে, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়, বিবেচনা করাও ঠিক হবে না। এনবিআরের পরামর্শেই রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি সিস্টেমের কারণে আদায় কম হয়ে থাকে, সেটা বিবেচনা করা হবে। আগামীতে কোনো অজুহাত শোনা হবে না। এনবিআর যদি স্বচ্ছ হয়, তাহলে বাংলাদেশের সব খাত স্বচ্ছ হয়ে যাবে।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, জরিপের মাধ্যমে নতুন করদাতা খুঁজে বের করা হয়েছে। এদের টিআইএন দেওয়া হয়েছে এবং রিটার্ন জমা দিতে বলা হয়েছে। এ বছর ৩০ লাখ রিটার্ন জমা পড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।