রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তেজগাঁও ইউনিট এর সিপাহী মশিউরের খুঁটির জোর কোথায়।

মোঃ হাবিবুর রহমান : বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তেজগাঁও ইউনিট এর সিপাহী মশিউর রহমান দীর্ঘ ছয় বছর যাবত তেজগাঁও ইউনিটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। এবং তেজগাঁও ইউনিটে যখন যে ইন্সপেক্টর যোগদান করেন তার সাথে মশিউরের বলিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেই সুবাদে মশিউরকে শিফটিং ডিউটি না দিয়ে মর্নিং শিফটে ডিউটি প্রদান করেন। সে তখন দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার,মাহুয়া এক্সপ্রেস, কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, রাজশাহী কমিউটার, তিতাস কমিউটার যাত্রীদের অতিরিক্ত মালামাল থাকলে তাদের থেকে জোরজবরদস্তি করে টাকা আদায় করে থাকে। মশিউর বেসরকারি ট্রেন এর টিকিট কালোবাজারি করে থাকে কাউন্টার থেকে ন্যায্য মূল্যে টিকিট ক্রয় করে চড়া দামে যাত্রীদের কাছ বিক্রি করে থাকে জামালপুরগামী এক যাত্রী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান আমি পরিবার পরিজন নিয়ে মাসে দুই তিনবার তেজগাও হইতে জামালপুর আসা যাওয়া করি আমি তেজগাও দীর্ঘদিন বসবাস করি রেলের পুলিশ মশিউর ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক হলে আমার আর টিকেটের জন্য চিন্তা করতে হয় না আমি তাকে বলিলে আমার পরিবারের চার পাঁচটি সিট ওয়ালা টিকেট উনি ব্যবস্থা করে দেন বিনিময় তাকে একটু বেশি দাম দিতে হয়। শুধু তাই নয় তেজগাঁওয়ে মাঝেমধ্যে আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে অবৈধ মালামাল মশিউরের সহযোগিতায় পার পার করে থাকে বলে সূত্রে জানা যায়। মশিউর সদ্য বিদায়ী হাবিলদার খলিলের কেশিয়ার হিসেবে কাজ করে থাকেন মশিউর খলিলের নির্দেশে কারওয়ান বাজার মাছের আড়ৎ রেলগেট, ভাঙারির দোকান,নাখালপাড়া কাঁচা বাজার,তেজগাঁও রেলেওয়ে কলোনি, অবৈধ পানিহাউস কাঁচা বাজার থেকে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা নিচ্ছে বলে একাধিক তেজগাঁও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এ প্রতিবেদক কে জানান। শুধু তাই নয় মশিউর এর নামে শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে এ /৬বি একটি বাসা তার নামে বরাদ্দ ছিল সে বাসাটিতে সে বসবাস না করে মাসে ১৫ হাজার টাকার বিনিময় বহিরাগতদের নিকট নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাড়া দেন বর্তমানে অধিক লাভের আশায় সদ্য বিদায়ী বিভাগীয় প্রকৌশলী ১ সুলতান আলী বর্তমানে কুলাউড়ার শাহাবাজপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক তিনি। মিজানুর রহমান অফিস সহায়ক অতিরিক্ত মাহা পরিচালক অপারেশন এর দপ্তর তার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ২৯/১২/ ২০২৪ ইং তারিখে তড়িঘড়ি করে মশিউর নামে তেজগাঁও এর বাসাটি বরাদ্দ প্রদান করেন সূত্রে জানা যায়। মশিউর আবেদন করার সময় তার নামে বরাদ্দকৃত শাহজাহানপুর কলোনির এ/৬বি বাসাটির তথ্য গোপন করে আবেদন করেন । যাহা সাইফুল ইসলাম উর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী কলোনি বাংলাদেশ রেলওয়ে পত্র নং ৫৪.০১.০০০০.২০৯.১৯.০০২.১৯ তারিখ ২৬/১/২০২৫ইং আলোকে স্পষ্ট প্রতিমান হয় যে উক্ত বাসাটি ২৯/১২/২০২৪ তারিখে তেজগাঁও রেলওয়ে কলোনি বি/১বি টাইপ বাসা বরাদ্দ প্রাপ্ত হন। ঐদিন শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির বাসা টি তড়িঘড়ি করে পরবর্তী এলোটি সাইফুল ইসলাম আর এন বি ঢাকার নিকট বরাদ্দ প্রদান করেন।বর্তমানে মশিউর উক্ত তেজগাঁও রেলওয়ে কলোনিতে বাসা বরাদ্দ পাওয়ার পর নিজে বসবাস না করে এক লক্ষ টাকা এডভান্স মাসিক ২২ হাজার টাকা ভাড়ার বিনিময় নিয়মবহির্ভূতভাবে বহিরাগত ব্যক্তির নিকট ভাড়া দিয়েছেন।এ বিষয়ে বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক ঢাকা মহিউদ্দিন আরিফ এই প্রতিবেদককে জানান “আমি এই বাসাটির বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় প্রকৌশলী ১কে নিরপক্ষ তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে”। এ বিষয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী ১ সিরাজ জিন্নাত এই প্রতিবেদক কে জানান “উক্ত বাসাটি নিয়ে তদন্ত চলছে যাহা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করব “।এ বিষয়ে ঢাকা বিভাগীয় কমান্ডিং আর এন বি এই প্রতিবেদক কে জানান আইনের উর্ধ্বে কেউ নয় আমার সদস্য যদি আপনাদের সাথে জড়িত হয় প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে মশিউর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে তেজগাঁও ইউনিটে পাওয়া যায়নি।