রেজিস্টারের অত্যাচারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তার আত্নহত্যায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
জীবনের তাগিতে চাকুরী?? নাকি চাকুরীর জন্য জীবন। জীবন দিয়ে সেটাই প্রমান করে গেলেন রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সিনিয়র এডমিন অফিসার মো: ফারুক হোসেন। জীবনের ২৫ টা বছর শ্রম দিয়েছেন এই প্রতিষ্ঠানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান, প্রসাশনিক কর্মকর্তা তানিম জুবায়ের ও দুইজন পিওন ফরিদ আহমেদ ও ফারুক ডেস্কের ফাইল গোপন করে দীর্ঘদিন যাবত মানিসকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন। কখনো কখনো তাকে রুমের ভেতরে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফারুক হোসেন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। ফোনে ও মুখোমুখি নানা রকম মামলা-হামলা এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়। মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে গত ১৩.৩.২০২৩ তারিখে সকাল ৮টায় ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। তার হত্যার সঠিক বিচারের দাবিতে অদ্য ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী মানব বন্ধন করে এবং উপচার্য মহোদয়ের নিকট একটি স্বারকলিপি প্রদান করে।
ফারুকের আত্নহত্যার প্ররোচনাকারী ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের অপসারন ও আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে তারা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে শ্বাস্তি দেওয়া ও সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে রেজিস্টারকে তার পদ ও সকল কার্যক্রম থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার চেয়েছেন তারা। একই সঙ্গে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দ্বারা হয়রানি, মানহানী, অপমান ও মানুষিক নির্যাতন বন্ধ করে কাজের সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্টি করা, কতিপয় কর্মকর্তা মিলে আলাদা প্রশাসনিক কাঠামোর বলয় তৈরী করা এবং তাদের আশ্রয়-প্রশয় ও মদতদানকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। রেজিস্টারের অধিনস্থদের নিয়ম বহির্ভূত কাজে বাধ্য করা, জোরপূর্বক চাকুরীচূত্য করা এমনকি গুরুত্বপূর্ণ নতি গায়েবসহ সকল অভিযোগের সুষ্ঠ তদন্তের ব্যবস্থা করা।