রুয়েটে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, হল ত্যাগের নির্দেশ

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শুক্রবার বিকেল ৩টা থেকে আগামী ১৮ নভেম্বর সকাল পর্যন্ত সাতদিন এ নির্দেশ বহাল থাকবে। এসময়ে রুয়েটের সকল আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। শিক্ষার্থীদের ইতোমধ্যে আবাসিক হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে রুয়েট কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রুয়েটের ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা কামরুজ্জামান হিরো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী সাত দিন রুয়েটের আবাসিক হলসমূহ বন্ধ থাকবে। সকল শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নিদের্শ দিয়েছে রুয়েট প্রশাসন। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে ঘটে যাওয়া ল্যাপটপ চুরির ঘটনায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের কারণে মূলত বন্ধ করা হলো।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকের রুয়েটে ছাত্রলীগের বিবদমান দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩ জন আহত হয়। পরে আহত মাসুম আকন্দকে (২২) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একই ঘটনার জের ধরে রুয়েটের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্ধার্ধ শঙ্কর রায়কে লাঞ্ছিত করা হয়। ল্যাপটপ চুরির জের ধরে রুয়েট ছাত্রলীগের কর্মী সাকিল কবীরকে চড় মারাকে কেন্দ্র করে ওই শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ নিয়ে ওইদিন রুয়েটের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মহানগর ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ গিয়ে শিক্ষক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের পক্ষ নিলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে রুয়েট ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে আবারো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।