রুবেলকে দেয়া অব্যাহতি প্রতিবেদনে হ্যাপির নারাজি
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার রুবেল হোসেনকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেছেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি।
রোববার ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিনা ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে হ্যাপি এ নারাজি আবেদন করেন। আবেদনে সঠিক তদন্ত না হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
হ্যাপির নারাজি আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২০ মে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবারও আবেদন করেছেন রুবেল হোসেন।
২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নাজনীন আক্তার হ্যাপি মিরপুর মডেল থানায় অভিযোগ করেন যে ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল হ্যাপির ইচ্ছার বিরুদ্ধে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এম অভিযোগ করা হয়।
রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে হ্যাপির করা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চলতি বছরের ২৯ মার্চ অব্যাহতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উইমেন সাপোর্ট এ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পরিদর্শক হালিমা খাতুন।
এরপর ১৩ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল হক চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি স্বাক্ষর করে পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) বরাবর পাঠান।
চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) ১৯ এপ্রিল ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ মামলাটি বদলি করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক তানজিনা ইসলাম অব্যাহতির শুনানির জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেন।
আজ এ ধার্যদিনে আদালতে হ্যাপি উপস্থিত হয়ে পুলিশের দেয়া অব্যাহতি প্রতিবেদনের ওপর নারাজি আবেদন করেন।
চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, নাজনীন আক্তার হ্যাপি প্রাপ্তবয়স্ক ও মিডিয়াতে কাজ করা একজন সচেতন আধুনিক ব্যক্তি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরও বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া তিনি যদি রুবেলের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন তাহলে সেটা তার সম্মতিতে হয়ে থাকতে পারে। ধর্ষণের সংজ্ঞানুযায়ী বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তার কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। তদন্তে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই এ মামলার দায় থেকে তাকে অব্যাহতিদানের প্রার্থনা জানানো হলো।