রিজভী, সালাম, আমান, খোকন, এ্যানী, জুয়েল, শিমুল বিশ্বাস আটক, গুলিবিদ্ধ ২১
আটক হওয়ার আগে এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ কমিশনার আমাকে ডেকেছেন তার সঙ্গে কথা বলার জন্য। নয়াপল্টন থেকে আমি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি। পরে তাকে আটকের খবর পাওয়া যায়।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীরা বুধবার সকাল থেকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরে নেতাকর্মীদের ভিড় শুরু হয়। এ সময় পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয়েছেন মো. রবিন খান, মো. আনোয়ার ইকবাল (বোরহান উদ্দিন কলেজ ছাত্রদল), মো. খোকন, মো. মনির হোসেন, মো রাশেদ (পল্টন থানা যুবদল), মো. ইয়াসির আরাফাত (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জসীমউদ্দীন হল), মো. সুমন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদল), মো. জহির হাসান (ছাত্রদল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়), মো. শামীম (রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো হানিফ, মো. হৃদয় (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. মকবুল হোসেন (কদমতলী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল), মো. ফারহান আরিফ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুজিব হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), মো. নূরনবী (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. সুলতান আহমেদ (শাহ আলী থানা যুবদল), মনির (শাহবাগ থানা যুবদল), মো. আমিনুল ইসলাম (শেরেবাংলা নগর থানা যুবদল), মো. আশরাফুল ইসলাম (গুলশান থানা ছাত্রদল), বিপ্লব হাওলাদার (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. আসাদুজ্জামান (ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল), মো. মেহেদী হাসান নয়ন (ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল)।