রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা
রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা
২০১৫ মে ২৫ ১৩:৫৬:৩৫ ২০১৫ মে ২৫ ১৭:৩০:০০
রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আগামী বছর থেকে রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। এবারের বাজেটে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সচিবালয়ে সোমবার ‘বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যাল্স ইমপোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’র (বারভিডা) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ ঘোষণা দেন।
বারভিডা নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হাইব্রিড গাড়ি নিয়ে আমিও কিছুটা দ্বিধাগ্রস্থ ছিলাম। যাহোক, রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ এবার দেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে দেশে হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত নতুন গাড়ি আমদানি করা হচ্ছে। ২৫০০ সিসি পর্যন্ত এ ধরনের গাড়ি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধাও পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এতদিন রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির কোনো সুযোগ ছিল না।
‘রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ি আমদানির সুযোগ দেওয়া হলে মধ্যবিত্তরা এটা ব্যবহার করতে পারবেন’ এমন দাবি করে বৈঠকে বারভিডা নেতারা বলেন, রিকন্ডিশন্ড হাইব্রিড গাড়ির ইঞ্জিন স্থানীয়ভাবে মেরামত করা যাবে না এবং এর ব্যাটারির আয়ুষ্কাল ও সহজপ্রাপ্যতা নিয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হয়েছে সেগুলো বিভ্রান্তিমূলক।
‘হাইব্রিড গাড়ি পরিবেশবান্ধব’ দাবি করে তারা আরও বলেন, এ গাড়ির ব্যটারির আয়ু কম পক্ষে ১০ বছর। এর চলন ক্ষমতা হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার কিলোমিটার। জাপানের মোট গাড়ি উৎপাদনের ৪০ শতাংশ হাইব্রিড ইঞ্জিনযুক্ত গাড়ি।
এ ছাড়া রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বয়স গণনা পদ্ধতি সংশোধন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে শুল্কায়ন সংক্রান্ত যেসব এসআরও জারি করা হয় সেগুলোর অস্পষ্টতা দূর করারও দাবি জানান বারভিডা নেতারা।
এ সব দাবির প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গাড়ির বয়স গণনা পদ্ধতিটি পর্যালোচনা করা হবে। এর বাইরে অন্যান্য যা আছে সেগুলো সব আগের মতোই থাকবে।’
বারভিডার সঙ্গে আলোচনার শুরুতে মুহিত বলেন, ‘এবারের বাজেটের আকার হবে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা। আর এবার বাজেটে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা অর্জন করা সরকারের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।’