রাশিয়া-কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে বোমা ফাটালেন ব্লাটার

29/10/2015 3:13 pmViews: 7

 

এবার বোমা ফাটানো তথ্য দিলেন ফিফা সাময়িক বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার। ২০১৮ ও ২০২২ সালের রাশিয়া ও কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক নির্ধারণের ব্যাপারে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক পুরনো। অর্থের বিনিময়ে ভোট কিনে তারা আয়োজক হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু এবার ভিন্ন খবর দিলেন সাবেক ফিফা প্রেসিডেন্ট। ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপ আয়োজক হবে এটা ভোটাভুটির আগেই সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিলে বলে জানালেন তিনি। এছাড়া ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ নিয়েও ভোটাভুুিটর আগেই এক ধরের বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছিল বলেও জানালেন। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে সেপ ব্ল্যাটার বলেন, ২০১০ সালেই ভবিষ্যতের বিশ্বকাপগুলোর আয়োজক নিয়ে এক ধরণের আলাপ আলোচনা হয়েছিল। সেখানেই ফিফা কর্মকর্তারা এক অর্থে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন ২০১৮ আর ২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে বিশ্বের সবচাইতে বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে। বড় দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়া যেহেতু কখনোই বিশ্বকাপ আয়োজন করে নি তাই ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন রাশিয়াতে হবে এমন কথাবার্তা পাকা হয়েছিলো। আর তারপর ২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। রাশিয়ার ব্যাপারে ফিফার নির্বাহী কমিটির ভোট আলাপ মাফিকই গিয়েছিলো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আগে সিদ্ধান্তের পরও ভোটাভুটির শেষ মুহুর্তে বেঁকে বসে নির্বাহী কমিটির ইউরোপীয় কয়েকজন সদস্য। তাতে শেষমেশ বাধ্য হয়ে আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয় ফিফাকে। এরপর ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য নির্বাচিত হয় কাতার। আর কাতারকে বিশ্বকাপ আয়োজক করার ব্যাপরেও বিভিন্ন মহলের সুপারিশ ছিল বলে জানালেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির হস্তক্ষেপ ছিল বলেও দাবি ব্লাটারের। এছাড়া কাতারের ক্রাউন প্রিন্সের সঙ্গে সারকোজির এক মধ্যাহ্নভোজে ইউয়েফা প্রধান মিশেল প্লাতিনিও ছিলেন বলে দাবি করেন ৭৯ বছর বয়সী ব্লাটার। দুর্নীতির দায়ে প্লাতিনি ও ব্লাটার দু’জনই তিন মাসের জন্য ফিফার দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত রয়েছেন। ২০১৫ সাল ফিফার জন্য একটি কেলেঙ্কারির বছর। বছরের শুরুতে টানা পঞ্চমবারের মতো ফিফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সেপ ব্লাটার। কিন্তু কর্তমর্তাদের নানা দুর্নীতির অভিযোগ ও সুইস পুলিশ কর্তৃক বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আটক হওয়ার পর তিনি প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি ফিফা থেকে সরে যাবেন বলে ঘোষণা দেন। ইতিমধ্যে সেই নির্বাচের প্রস্ততি শুরু হয়ে গেছে। আগামী ফেব্রুয়ারির ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যে সংস্থাটির নির্বাচন কমিশন ৮ জনের মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে। এদের মধ্যে মিশেল প্লাতিনির নামও আছে।

Leave a Reply