রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র না করার আহ্বান বিএনপির
১১ জুন, ২০১৫
বাগেরহাটের রামপালে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এ আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কর্নেল (অব.) মো. শাহজাহান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, মাসুদ অরুন, শাম্মী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, বিএনপিও বিদ্যুৎ কেন্দ্র চায় তবে তা রামপালে নয়। কারণ ইতিমধ্যেই দেশি-বিদেশি পরিবেশবিদরা রামপালের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সুন্দরবনের পরিবেশ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিকল্প জায়গায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা যাবে কিন্তু সুন্দরবন তৈরি করা যাবে না। এতে জীববৈচিত্রের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
রিপন বলেন, আমরা (বিএনপি) দেশে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রর বিরোধী নই। আমরা চাই দেশে আরও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হোক। কিন্তু সরকার রামপালে কয়লাভিত্তিক একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করতে সম্প্রতি দুইটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। এ চুক্তিতে আমরা মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মাত্র ১৩ শতাংশ পাব। আর যাদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে, সেই কোম্পানি পাবে ৮৭ শতাংশ। এটা কোনোভাবেই আমাদের দেশের স্বার্থের অনুকূল নয়।
তিনি বলেন, সিপিবি-বাসদ ও আমরা (বিএনপি) শুধু নই, আমরা বিশ্বাস করি দেশের একটি বৃহৎ অংশ যারা আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট দেন, তাদের মধ্যেও অনেক বিবেকবান মানুষ রয়েছেন, যারা রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প হোক তা মন থেকে চান না। হয়ত দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তারা তা ডিসক্লোজ করতে পারেন না। সরকার যদি জনগণের কল্যাণে বিশ্বাস করে, তাহলে রামপাল থেকে ওই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি তারা সরিয়ে আনবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রামপালে সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে পশুর নদীর তীরে ১৮৩৪ একর জমির ওপর হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। ভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানির (এনটিপিসি) সঙ্গে এ বিষয়ে পিডিবির ইতিমধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।