রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, এমপির গাড়ি ভাঙচুর

রাজশাহীর দুর্গাপুরে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাছাই অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।

শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহত লোকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে জয়নগর ইউপি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী বাছাই করতে উপজেলার রসুলপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ। সভা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মজিদের নেতৃত্বে দেড়-দুই হাজার নেতা-কর্মী রসুলপুর মাঠে গিয়ে জড়ো হন। এরপর মজিদের পক্ষের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংসদ সদস্যর পক্ষের নেতা-কর্মীদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওয়াদুদ ও নজরুল ইসলামের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়। আহত হন অন্তত ৩০ জন।

আবদুল মজিদের অভিযোগ, তিনি তার পক্ষের লোকজন নিয়ে সভাস্থলে গিয়ে দেখেন যে আগে থেকে সাংসদের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে বসে আছেন। লাঠি নিয়ে কেন প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে, এ কথা জানতে চাইলে সংসদ সদস্যের পছন্দের প্রার্থী জয়নগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে লোকজন তাঁর (মজিদ) ওপর হামলা চালান।

দুর্গাপুর থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংসদ সদস্য ও উপজেলার চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোনো মামলা হয়নি।