রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন করেছেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন করেছেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন করেছেন।’ বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ১০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন ও বণিকায়নের সূচনা করেছেন এবং তারেক রহমান অনুরূপ ধারা অনুসরণ করেছেন। এ কারণে বিএনপি’র নেতৃত্বে পরিবর্তন আসলেও এটি একটি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়েছে, দলটির সংস্কার প্রয়োজন।’
বিএনপিকে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এর নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে তিনি বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান অপরাধীদের নিয়ে বিএনপি গঠন করেন। এখন তারেক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, যিনি দেশের গণতন্ত্রের বিরাট শত্রু।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, ‘যখন ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করেন, তখন তারা সব সময়ই তাদের স্বার্থের কথা ভাবেন এবং যখন অপরাধীরা রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন তখন সমাজ থেকে দুস্কর্মের অপসারণ করা সম্পূর্ণ অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওয়া ভবন ও তারেক রহমানের দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলেছেন, কিন্তু বিএনপির মহাসচিব তার মন্তব্যকে গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বস্তুতপক্ষে তিনি বলেছেন, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে জিয়া গণতন্ত্রকে ব্যাহত করেছেন। এ কারণে বিএনপি দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিরাট হুমকি। তিনি বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য প্রসঙ্গে বলেন, ‘এখন ঐক্যফ্রন্টে কোন ঐক্য নেই। এখানকার দলগুলো ইতোমধ্যে জোট ছাড়তে শুরু করেছে।’
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে দেশের প্রতি ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অবদনের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘ড. ওয়াজেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা হিসেবে ক্ষমতার অতি নিকটে ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই ক্ষমতার প্রতি কোন আগ্রহ দেখাননি।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কামাল চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।