রাজধানীতে ১৩ গাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ
প্রতিবেদক : ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালকে সামনে রেখে রাজধানীতে আরও এক ডজনেরও বেশি গাড়িতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে মিরপুরে ৯টি, উত্তরায় দুটি, মোহাম্মদপুরে একটি এবং বাসাবোতে একটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে আগুন দেওয়ার এসব ঘটানো হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের পাশাপাশি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সন্ধ্যায় মিরপুর এক নম্বরে হরতাল সমর্থনে মিছিল বের করে ছাত্রদল। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে মিছিলকারীরা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে হরতালের সমর্থনে মিরপুর প্রশিকা মোড়ে একটি ও চলন্তিকা মোড়ে পরপর দুইটি শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
সন্ধ্যায় মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে নিউভিশন কোম্পানির একটি বাসে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। প্রায় একই সময় মিরপুর এক নম্বরে ঢাকা-বরিশাল রুটে দূরপাল্লার সাকুরা পরিবহনের একটি বাসে, মাজার রোডে হযরত শাহ আলী মাজারের সামনে একটি হিউম্যান হলারে, রূপনগর এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে এবং মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে দুইটি ট্যাক্সিক্যাবে আগুন দেওয়া হয়।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মিরপুর দশ নম্বরে আগুন দেওয়া হয় একটি সিএনজি অটোরিকশায়। সন্ধ্যা পৌনে আটটার দিকে দশ নম্বর গোল চত্বরে বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে এবং পূরবী সিনেমা হলের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। প্রায় এক সময়ে আগুন দেওয়া হয় চিড়িয়াখানা রোডে বিসিআইসি স্কুল ও কলেজের সামনে নিউভিশনের অপর একটি বাসে।
সন্ধ্যার পর নয়াপল্টন পলওয়েল মার্কেটের সামনে পরপর কয়েকটি শক্তিশালী ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আব্দুল্লাহপুরে দুটি যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিসংযোগ করে হরতালকারীরা। একই সময় পাচঁটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে।
রামপুরা টেলিভিশন ভবনের সামনে তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে একটি সিএনজি অটোরিকশাতেও ভাঙচুর চালানো হয়। এতে এর চালক আহত হন। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় একটি হিউম্যান হলারে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গাড়িটির চালক জানে আলমকে (২৮) অগ্নিদগ্ধ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।