রাজধানীতে বিপুল সংখ্যক গাড়িতে আগুন, বিস্ফোরণ, পুলিশসহ আহত ১৩
সোমবার সকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৭টি গাড়িতে বাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা।
সোমবার রাতে সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর নাবিস্কো মোড়ে একটি যাত্রাবাহি বাসে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধরা। এতে এক যাত্রী আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। প্রায় একই সময়ে মিরপুর-১১ তে একটি যাত্রাবাহী বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর লালবাগ বাগান বাড়ি এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা। এসময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল হঠাৎ দু’তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চার থেকে পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করে এবং একটি ট্রাকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
রাত পৌনে আটটার দিকে নবাবপুর এলাকায় একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থকরা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় বেঙ্গল গ্যালারির সামনে একটি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েকজন লোক হঠাৎ করে দাড়িয়ে থাকা ওই প্রাইভেটকারে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তবে এরা কে বা কারা কেউ চিনতে পারেনি।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজারের কাছে গাজীপুর পরিবহন বাসে আগুন দেয়া হয়। তবে আগুনের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এছাড়া সকাল সোয়া ১১টায় রাজধানীর নর্দা বাসস্ট্যান্ডে তুরাগ পরিবহনের একটি বাস আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ভাটারা থানার ওসি গোলাম সরোয়ার আলম বলেন, তুরাগ পরিবহনের বাসটি যাত্রবাড়ী থেকে টঙ্গী যাচ্ছিল। পথে নর্দা বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী নামনোর জন্য থামলে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এসে বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। যাত্রীরা দ্রুত নেমে পড়ায় কেউ আহত হননি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে, রাত ৯ টার দিকে মিরপুরের কাজীপাড়ায় ককটলে বিস্ফারণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। এছাড়া টিএসসিতে ককটেল বিস্ফোরণে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ আহত হবার খবর পাওয়া গেছে।