‘রাগ হয় যখন সাবেক খেলোয়াড়রা আমার ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন তুলে’
পিএসএল’র পরে টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলবেন মিসবাহ

সাবেকদের নিয়ে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হকের কণ্ঠে আরো একবার ঝড়ে পরল ক্ষোভ। নিজের ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, রাগ হয় তখনই যখন আমার ব্যাটিং নিয়ে সাবেক খেলোয়াড়রা প্রশ্ন তুলে।
তিনি জানান, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর পরে নিজের টেস্ট ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের হয়ে শিরোপা ধরে রাখাও এখন মিসবাহ’র সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
ওয়েবসাইটে মিসবাহ বলেছেন, ‘নিজের সম্পর্কে পর্যবেক্ষণ করতে বললে একটি কথাই বলতে হয়, ক্রিকেট খেলতে আমি কতটা মুখিয়ে থাকি। আমি মনে করি, এই এক মাসের মধ্যে আমি একটি সিদ্ধান্ত নিতে পারবো। হয় খেলা বন্ধ করে দেব অথবা একটি নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করে দিব। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের পরে সহজেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে পারতাম। কিন্তু সেটা সঠিক পন্থা হতো না।’
নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরপর দুটি সিরিজ হারার পরে বেশ চাপের মধ্যে আছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক। একইসাথে ৪২ বছর বয়সী মিসবাহ ব্যক্তিগত ফর্ম নিয়ে সমালোচনার শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে সিরিজে তার শট নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরো সিরিজে তার সর্বোচ্চ রান ছিল মাত্র ৩৮।
এ সম্পর্কে অবশ্য মিসবাহ বলেছেন, মিডল অর্ডারে আমি যখন ব্যাট করতে নামি তখন দলের প্রয়োজনে ক্রিজে টিকে থাকাটাই মুখ্য। যদি দলের ৪ উইকেট পতনের পরে একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন হয় ইনিংস ধরে রাখার জন্য, তখন আসলে উইকেট ধরে রাখতে চেষ্টা করি। সবসময়ই আমার মধ্যে একটি বিষয় কাজ করে, আমরা যদি ভাল রান এনে দিতে পারি তাহলে বোলারদের জন্য বাকি কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। কিন্তু রাগ হয় তখনই, যখন আমার ব্যাটিং নিয়ে সাবেক খেলোয়াড়রা প্রশ্ন তুলে।
মিসবাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রথমবারের মত টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করে। যদিও তা বেশীদিন স্থায়ী হয়নি। মিসবাহ মনে করেন নিজের অর্জনের চেয়ে দলের প্রয়োজনটা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, একটি নির্দিষ্ট স্থানে দল পৌঁছানোর পরে অনেক কিছুই মনে হয়। সে কারণেই পাকিস্তান শীর্ষস্থানে যাবার পরে অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়াটা সহজ ছিল। কিন্তু কখনই ব্যক্তিগত অর্জনকে সামনে নিয়ে আসা হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয়ে পরে দলের তরুণদের একটাই বার্তা দেবার চেষ্টা করেছি যাতে করে তারা বিশ্বাস করতে পারে কঠিন পরিস্থিতিতেও কিভাবে সামলে উঠা যায়।