রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ
প্রতিবেদক : দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ রবিবার রাজধানীতে শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে। বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জনসভাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও জামায়াতের আন্দোলনের জবাব হিসেবে এ জনসভার মাধ্যমে রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন এবং নির্বাচনী শোডাউন করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন।
সরকারের মেয়াদের শেষ মুহূর্তে এবং নির্বাচনের আগে রাজধানীতে এই জনসভার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন।
জনসভা সফল করতে ইতিমধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ব্যাপক জনসমাগমের জন্য ঢাকার প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিশেষভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মহানগরের আওতাভুক্ত আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি আলাদা আলাদাভাবে জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে। দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোও আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিয়েছে। ঢাকার প্রতিটি আসনের এমপি এবং নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসভায় নিজেদের পক্ষে শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর থেকে সভায় ব্যাপক সংখ্যক কর্মী-সমর্থক নিয়ে আসার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। জনসভাকে সফল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিক বৈঠক করছে।
এদিকে এই জনসভাকে সফল করতে গত বুধবার গণভবনে কেন্দ্রীয় নেতা, ছয় জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘দুর্বলের সঙ্গে কেউ সন্ধি করে না। শক্তি হলে সবাই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে আসবে। লাঠি বা বন্দুকের শক্তি না, সমর্থকদের শক্তি। এটাই বাংলাদেশের একমাত্র রাজনৈতিক শক্তি।’ দলের সাধারণ সম্পাদকের এই নির্দেশনাকে ভিত্তি ধরেই রাজধানীতে জনস্রোত তৈরির প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।
বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা: এদিকে জনসভা ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। উদ্যানের প্রায় প্রতিটি প্রবেশপথে বসানো হচ্ছে নিরাপত্তা চৌকি ও আর্চওয়ে মেটাল ডিটেক্টর।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান বর্তমানকে জানান, জনসভা ঘিরে সমাবেশ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।