রফতানি পণ্য উৎসে কর মওকুফের প্রস্তাব বিজিএমইএ’র
তৈরি পোশাক রফতানিতে উৎসে কর মওকুফ, করপোরেট করহার ১২ থেকে ১০ শতাংশ নামিয়ে আনা এবং অনলাইন অডিট ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। একইসাথে এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ইউটিলিটি সার্ভিসে (গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি) ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনের সভাকক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আয়োজিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনায় নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশনসহ (বিটিএমএ) পোশাক খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানিতে সোর্স ট্যাক্স হিসেবে ২ থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেটে এটি খুব বড় অর্থ নয়। আমরা সম্পূর্ণরূপে সোর্স ট্যাক্স প্রত্যাহারের কথা বলছি। রফতানিকারকদের কাছ থেকে এটা না নিলে খুব ক্ষতি হবে না। তিনি বলেন, তৈরি পোশাক ভ্যাটের আওতামুক্ত। রফতানিমুখী সব পণ্যই ভ্যাটের আওতামুক্ত হওয়া উচিৎ।
এর জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘সুষ্ঠু ব্যবসা করার জন্য যা যা প্রয়োজন বাজেটে সেসব সুবিধা রাখা হবে। তবে এখনও অনেক ব্যবসায়ী ট্যাক্স-ভ্যাটের আওতার বাইরে রয়েছে। তাদেরকে করের আওতায় আনতে আপনারা সহযোগিতা করুন।’
রফতানির ক্ষেত্রে সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা রফতানি করছে- তাদের যথেষ্ট প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এখন রফতানি বাড়াতে নতুন নতুন পণ্য আসতে হবে। তাদের ক্ষেত্রেও আমরা সুবিধা দিতে চাই। কারণ রফতানি বাড়াতে হবে। তা না হলে উন্নয়নশীল দেশ হওয়া যাবে না। বাসস।