নবগঠিত রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানে রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘ দেশটিতে শান্তিরক্ষাবাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গত ১০ দিনে দক্ষিণ সুদানে সহস্রাধিক সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
শান্তিরক্ষীবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে তার সদস্য সংখ্যা ইতোমধ্যে দ্বিগুণ করা হয়েছে। বর্তমানে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা সাড়ে ১২ হাজার।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি দক্ষিণ সুদানের সরকারী ও বিদ্রোহী উভয় দলের প্রধান যথাক্রমে সিলভা কির ও রিয়েক মাচারকে সহিংসতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। দু পক্ষের মধ্যস্থতার জন্যে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্যে আলোচনায় বসার পরামর্শ দিয়েছেন।
সেখানে ডিংকা ও নুয়ের গোত্রের প্রাধান্য নিয়ে মূলত সহিংস কোন্দল চলছে, যেখানে কির ডিংকা ও মাচার নোয়ের গ্রোত্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে দক্ষিণ সুদানের এ দু দলের মধ্যে আধিপত্যের সশস্ত্র লড়াই শুরু হয় এবং সিলভা কির এর জন্য রিয়েক মাচারকে দায়ের করেন। রিচার রিয়েক মাচার পুনরায় ক্ষমতা দখলের ইচ্ছের কথা অস্বীকার করেছেন। চলতি বছরের জুলাইয়ে এক গোপন সামরিক অভ্যূত্থানে রিয়েক মাচার প্রশাসনের পতন ঘটে।
জাতিসংঘ দেশটিতে অতিরিক্ত সাড়ে ৫ হাজার অতিরিক্ত শান্তিরক্ষী নিযুক্ত করার উদ্যোগ নিচ্ছে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়াও জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পুলিশ ফোর্সেরও সদস্য সংখ্যা ৯০০ থেকে ১৩২৩ এ উন্নীত করা হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেছেন, এ সংঘাতের কোন সামরিক সমাধান নেই। এটি একটি রাজনৈতিক সমস্যা, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানই কাম্য।
সুদানের কাছ থেকে ২০১১ সালে এ দক্ষিণাংশ স্বাধীন হবার পূর্ব পর্যন্ত ২২ বছরের গৃহযুদ্ধে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।