যৌন আগ্রাসী মহিলাদের শিকার পুরুষরা!

26/03/2014 10:27 pmViews: 11
ঢাকা:  যৌন নির্যাতনের শিকার পুরুষ! শুনতে অবাস্তব, অস্বাভাবিক লাগলেও ব্যাপারটা সত্যি। ভারতে নারী নিগ্রহ যেখানে দিনদিন বাড়ছে, সেখানে গোলার্ধের অন্য পিঠে বিপরীত ছবি। মার্কিন মুলুকে মেয়েরাই ছলা-কলার অস্ত্রে ছেলেদের প্রলুব্ধ করে যৌন সংসর্গ করতে বাধ্য করছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার রীতিমতো ভয় দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে নিচ্ছে পুরুষদের যৌন মিলনে বাধ্য করছে তাদের টিন এজ কিশোর থেকে শুরু করে অফিসের পুরুষ সহকর্মী, যৌন আগ্রাসী মহিলাদের কাছে বধ সকলেই!

 

আমেরিকার পুরুষদের ওপর যৌন অত্যাচার সংক্রান্ত এক গবেষণায় এহেন ছবি ফুটে উঠেছে। গবেষণাটি ছাপা হয়েছে ‘সাইকোলজি অব মেন অ্যান্ড ম্যাসকুলিনিটি’ নামে এক পত্রিকায়। সমীক্ষায় প্রায় ৪৩ শতাংশ হাইস্কুল ও অল্পবয়সী কলেজ ছাত্র জানিয়েছে, যৌবনের দোরগোড়ায় পৌঁছতে না পৌঁছতেই না চাইলেও যৌন সম্পর্কের অভিজ্ঞতা হয়ে গিয়েছে তাদের। এদের ৯৫ শতাংশ জানিয়েছে, পরিচিত কোনও মহিলাই তাদের কৌমার্য হরণ করেছেন! কখনও জোর জবরদস্তি করে, কখনও বা শরীরী বিভঙ্গে আকৃষ্ট করে।

 

মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ব্রায়ানা এইচ ফ্রেঞ্চের অভিমত, যৌন হামলার শিকার হওয়াটা আমেরিকায় এক ব্যাপক সমস্যা। কিন্তু পুরুষরাও যে যৌন অত্যাচারের শিকার হন, সেটা তেমন আলোচনাতে আসেই না। তিনি বলছেন, পুরুষরা যে নানা ধরনের জোরজবরদস্তির মুখোমুখি হন, সেগুলি চিহ্নিত করে ভালোভাবে এর মোকাবিলা করতে সাহায্য করবে আমাদের গবেষণায় পাওয়া তথ্য পুরুষের ওপর মেয়েরাও অত্যাচার করে, সেটাও গবেষণায় মেনে নেওয়া হয়েছে।

 

সমীক্ষায় ২৮৪ জন হাইস্কুল, কলেজ ছাত্র অবাঞ্ছিত যৌন অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেছে। ১৮ শতাংশ বলেছে, শারীরিক বলপ্রয়োগ করে তাদের যৌন মিলনে লিপ্ত করা হয়েছে। কোন কোন মহিলা কবে বলপ্রয়োগ করেছিলেন তাদের নামধামও তারা বলে দিয়েছে। প্রায় ৩১ শতাংশের মত, তাদের গালিগালাজ করে বাধ্য করা হয়েছে যৌন সংসর্গে জড়াতে। আবার ২৬ শতাংশ বলেছে, যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে আহ্বান করেছেন কোনও না কোনও মহিলা, যা তারা উপেক্ষা করতে পারেনি, সাড়া দিয়ে বসেছে। প্রায় ৭ শতাংশ জানিয়েছে, তাদের অ্যালকোহল বা মাদক জাতীয় কিছু খাইয়ে বেহুঁশ করে যৌন সম্পর্কে জড়ানো হয়েছে।

 

সমীক্ষায় মতামত দেওয়া ছাত্রদের অর্ধেক জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির চাপে বাধ্য হয়ে যৌন মিলন করেছে। ১০ শতাংশ জানিয়েছে, যৌন সম্পর্কের চেষ্টা হয়েছে। ৪০ শতাংশ বলেছে, শুধু চুম্বন, জড়াজড়ি করা বা গোপানঙ্গে হাত দিয়ে মর্দন, আলিঙ্গনেই ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ থেকেছে।

 

কিন্তু জোরজবরদস্তির নমুনা কেমন? ছেলে বা পুরুষদের কেউ যেমন বলেছে, আমার পার্টনার আমার মুখদর্শন করবে না বলে হুমকি দিয়েছে। কেউ জানিয়েছে, আমার সঙ্গিনী অ্যালকোহল খেতে প্ররোচিত করেছে আমায়, তারপর আমি যখন বেসামাল হই, তখন সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে! কেউ বলেছে, আমার পার্টনার অস্ত্র দেখিয়েছে বা অস্ত্র নিয়ে হামলার ভয় দেখিয়েছে। আবার কারও অভিজ্ঞতা হল, আমার ইচ্ছা ছিল না, সদ্য পরিচিত মেয়েটাই গায়ে হাত-টাত দিয়ে বা গা ঘষাঘষি করে উত্তেজিত করে তুলেছিল আমায়!

 

ফ্রেঞ্চের ব্যাখ্যা, হতে পারে মেয়েদের তরফে জবরদস্তি পুরুষকে শরীরী সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা হলে তা পুরুষের আত্মমর্যাদাকে আঘাত করে না, যেমনটা মেয়েদের ওপর জোরজবরদস্তি করা হলে হয়ে থাকে। বরং আগুনের দিকে ধেয়ে যাওয়া পতঙ্গের মতো মেয়েরাও পৌরুষের আকর্ষণে ছেলেদের বুকে আছড়ে পড়বে, এটাই এক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে দেশটা আমেরিকা বলে এই ছবিটা এখন গা সওয়া, স্বাভাবিক। তাই হইচই কম। এখন এটাকে ব্যতিক্রম ধরা হচ্ছে না। কিন্তু চিন, জাপান, কোরিয়া, ভারত, তাইল্যান্ড সহ প্রাচ্য দেশগুলিতে, বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে এরকম আগ্রাসী যৌন বুভুক্ষা, স্মার্টনেস মহিলাদের মধ্যে বিরল ও ব্যতিক্রমী ঘটনা। অন্তত প্রকাশ্যে বা একান্ত গোপনে পুরুষ সঙ্গীর কাছে এশীয় মহিলারা এখনও সলজ্জ, অন্তঃপুরবাসিনী।

Leave a Reply