যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হবেই: প্রধানমন্ত্রী
টাঙ্গাইল ও জামালপুর সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের সেই সুযোগ দেয়া হবে না। বিচারের রায় কার্যকর হবে এবং তা বাংলার মাটিতেই।’ তিনি বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেবে। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল ও জামালপুরে পৃথক জনসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এলাসিনে ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত সেতু উদ্বোধনের পর এক সমাবেশে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে আগামী নির্বাচনে আবারও ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। টাঙ্গাইলে সেতু উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী জামালপুরের ইসলামপুর যান। সেখানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।
এলাসিনের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে রাজাকাররা দেশের জনগণের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। লাখ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হরণ করেছে। আজ বাংলার মাটিতে তাদের সেই বিচার হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে জঙ্গীবাদ সৃষ্টি করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার সে জঙ্গীবাদ নির্মূল করেছে। তারা ক্ষমতায় এলে আবারও দেশ জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত মিলে মসজিদে ঢুকে কুরআন শরিফ পুড়িয়েছে। অথচ তারা ইসলাম রক্ষার কথা বলে। আসলে তারা মুসলমান নামের কলঙ্ক।
তিনি বলেন, বিগত যে কোনো সরকারের সময় থেকে বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কৃষি ও চিকিত্সা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখন মানুষ আর না খেয়ে মারা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী নাগরপুর-দেলদুয়ারবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতুর নামকরণ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের নামে করার ঘোষণা দেন।
সমাবশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য খন্দকার আবদুল বাতেন, একাব্বর হোসেন, আমানুর রহমান খান রানা প্রমুখ।