যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে লজ্জিত: ফখরুল
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো রাখতে সব রাজনৈতিক দল সঙ্গে নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকার হটাতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নির্মাণে যেসব মানুষ অবদান রাখছে তাদেরকে স্মরণ করা হয় না।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে জনগণ বলে কোন শব্দ নেই, দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চলছে। আর এজন্য সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতা দখল করেছে। কোনো আলাপ-আলোচনার সুযোগ নেই, রাস্তা দখল করে ফয়সালা হবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ জনগণ ছাড়বে না। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি সভাপতি আসম আব্দুর রব বলেন, যুবকদের এখন লড়াই করার সময়। ছাত্রলীগের নেত্রীরা এখন গরু চোরের সরদার। আওয়ামী লীগ ভোটে বিশ্বাস করে না। ক্ষমতা মাটিতে পড়ে থাকবে তবুও আওয়ামী লীগকে থাকতে দেয়া হবে না। এ লড়াই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের লড়াই।
সংসদীয় গণতন্ত্র নয়, সংসদীয় একনায়কতন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতা পড়ে থাকবে, আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না। ব্যাপক গণঅভ্যুত্থান, গণআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারের বিদায় হবে। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমান উল্লাহ দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসলাম মিল্টন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ওলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।