যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন ওবামা

25/06/2016 12:42 pmViews: 8

যুক্তরাজ্যের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন ওবামা

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, যুক্তরাজ্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবারের গণভোটে যুক্তরাজ্য ইইউ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেও যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ‘অপরিহার্য অংশীদার’ হিসেবেই গণ্য হবে। তিনি বৃটিশদের আবারও নিশ্চিত করেছেন যে, ইউরোপ থেকে বৃটেনের আসন্ন বিচ্ছেদ লন্ডন ও ওয়াশিংটনের মধ্যেকার বহুমুখী ও বিশেষ সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, বৃটেনের গণভোটের পর ওবামা তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এর আগে তিনি বৃটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে শক্তিশালী অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। এবং বৃটেনের ইইউ ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে তার গৃহীত প্রচেষ্টার প্রতি বড় ধরনের আঘাত বলেও অভিহিত করেছিলেন। তবে গণভোটের ফলাফলের পর তিনি বলেন, বৃটেনের জনগণ তাদের মতামত জানিয়ে দিয়েছে। এই মতামতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র শ্রদ্ধা পোষণ করে। তবে এই ফলাফলে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলেও জানান তিনি। ওবামা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যেকার সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ়। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার আলোচনা শুরু করলেও তারা উভয়েই যুক্তরাষ্ট্রের অপরিহার্য অংশীদার হিসেবেই থেকে যাবে।’ এর আগে এপ্রিলে যুক্তরাজ্য সফরে ওবামা বৃটিশদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে যাওয়ার পক্ষেই আহ্বান জানিয়েছিলেন। ওবামা তখন বলেছিলেন, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক- উভয় খাতেই ইইউয়ে বৃটেনের থেকে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তখন তিনি বৃটিশ ব্যবসায়ীদেরও এই বিষয়ে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন, বৃটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে আলোচনায় বসতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো তাড়া নেই। ওবামার এমন বক্তব্যকে অনেকেই একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। তার বক্তব্যের তেমন প্রভাব পড়েনি বলেও মনে হয়েছে। তবে শুক্রবারের বক্তব্যে ওবামা বৃটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করা নিয়ে নরম সুরেই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘ন্যাটোতে যুক্তরাজ্যের সদস্যপদ মার্কিন পররাষ্ট্র, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। ইইউয়ের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কও তেমনই গুরুত্বপূর্ণ, যা স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চাঙ্গা রাখা এবং ইউরোপ ও বহির্বিশ্বে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আদর্শ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে।’
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণভোটের ফলাফলের পর। তিনি বলেন, ‘আমরা ভিন্ন একটি ফলাফল আশা করেছিলাম। তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং এই বিশেষ বন্ধন অটুট থাকবে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত করা হিলারি ক্লিনটনও তার বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশেষ সম্পকের্র কথা উল্লেখ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যের জনগণ নিজেদের যে রায় দিয়েছে তাকে আমরা সম্মান জানাই। আমাদের প্রথমে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে এই গণভোটের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা যেন এখানে বসবাসরত পরিবারদের কোনো ক্ষতি না করে। হিলারি আরও বলেন, আমেরিকার জনগণ ও তাদের বন্ধু ও মিত্রশক্তিদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ও প্রতিবন্ধকতা অতিক্রমের জন্য হোয়াইট হাউজে এখন শান্ত, অটল ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব প্রয়োজন।

Leave a Reply