মোবাইল ফোন থেকে সাবধান
মোবাইল ফোন ছাড়া একটা দিনও কি ভাবা সম্ভব কারোর পক্ষে?শহর হোক বা গ্রাম বর্তমান জীবনের প্রতিটা ভাঁজে খাঁজে ওতোপ্রতো জড়িয়ে আছে ওই ছোট্ট মুঠোফোন। আমরা সবাই কমবেশি নোমোফোবিয়াকস। কিন্তু জানেন কি এই পুঁচকি গেজেট আপনার জীবনে ঠিক কী কী বিপদ ডেকে আনতে পারে? মোবাইল ফোন শরীরের পক্ষে বিশেষ সুবিধার নয় এই আপ্তবাক্যটি এখন কম বেশি সবারই জানা। কিন্তু ঠিক কী কী বিপদ ডেকে আনতে পারে? কীভাবে? প্রতিকারই বা কী? তারই এক ঝলক রইল মোবাইল প্রেমীদের জন্য।
মোবাইল ফোনের ব্যবহারের সম্ভাব্য শারীরিক সমস্যাগুলি হলো:
১. মস্তিষ্কের রক্তসঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়।
২. ক্যান্সার।
৩. স্মৃতিশক্তি লোপ।
৪. মানসিক স্থিরতা নষ্ট, উত্তেজনা, মাথাযন্ত্রণা, অনিদ্রা, ব্যবহারে পরিবর্তন, ক্লান্তিভাব, শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস
৫. হ্যাঁ। মোবাইল ফোন থেকে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের রূপে রেডিয়েশন নির্গত হয় বৈকি। একটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের নির্দিষ্ট রেডিও ফ্রিকুইন্সির ফলে ফোন করা যায় বা ধরা যায়। যেহেতু ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে এই রেডিয়েশন মোবাইল থেকে নির্গত হয়।
৬. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রেডিও তরঙ্গ শরীর শোষণ করে। তবে স্থান বিশেষে এই নির্গত রেডিয়েশনের তারতম্য হয়। গাড়ির ভিতর, ঘরের বাইরে, ঘরের মধ্যে বিভিন্ন অবস্থায় বদলে যায় নির্গত রেডিয়েশনের মাত্রা। তবে ফোনে টাওয়ার কম থাকলে সেই সময়ে নির্গত রেডিয়েশনের মাত্রা হয় সর্বাধিক।
৭. যখন কোনো ব্যক্তি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে তখন তার মস্তিষ্কের কোষ গুলি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তবে মস্তিষ্কের কোষ এই তাপমাত্রা সহ্য করতে সক্ষম। এতে মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনেও আপাত কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু চোখের কর্নিয়া এই তাপের ফলে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৮. মোবাইল ফোন থেকে নির্গত তাপ দেহের সাধারণ কোষীয় কার্যকলাপে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। বিবিধ মেসেঞ্জার সিস্টেমকে চালু করে দিতে পারে। হিট শক প্রোটিনের উৎপাদন বদলে দিতে পারে, বদলে দিতে পারে জিনের কার্যকলাপও। ফলে তাপের বিরুদ্ধে শরীরের যে সাধারণ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে তা ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।
৯. আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা বলছে অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের ব্যবহার শরীরে গ্লুকোজ পরিপাক বাড়িয়ে দেয়।
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকারক দিক গুলি থেকে বাঁচার কিছু উপায়
– কথা বলার সময় ফোনটাকে কানের থেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে রাখুন
– দুর্বল সিগন্যালের সময় ফোন ব্যবহার বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন।
– ফোন নম্বর ডায়াল করার সময় স্পিকার ব্যবহার করুন।
– হেডফোন ব্যবহারের চেষ্টা করুন।
– বেশিক্ষণ কথা বলার সময় ফোন একটানা এক কানের সঙ্গে লাগিয়ে না রেখে হাতবদল করুন। – ওয়েবসাইট।