মোদীর আগেই আসছেন মমতা

05/06/2015 12:16 pmViews: 7
মোদীর আগেই আসছেন মমতা

 ০৫ জুন, ২০১৫

আজ শুক্রবার বাংলাদেশে আসছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর উপলক্ষে তার এ সফর হলেও মোদির আগেই তিনি ঢাকায় আসছেন। মোদি আগামীকাল শনিবার আসবেন।

সন্ধ্যায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি নিয়মিত ফ্লাইটে মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় পৌঁছাবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী তাকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

মমতার সফর সম্পর্কে এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, মোদীর এ সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ঢাকা সফর সীমান্ত চুক্তির রেটিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত। সীমান্ত চুক্তির রেটিফিকেশনের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মমতা।

মোদীর সঙ্গে বৈরিতার কারণে মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় একই হোটেলে থাকছেন না। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তার সফরসঙ্গীদের ঢাকায় অবস্থানের জন্য সোনারগাঁও হোটেলে ব্যবস্থা করা হয়েছে। মমতা ব্যানার্জি থাকবেন রেডিসন হোটেলে। মমতা ব্যানার্জির আলাদা হোটেলে থাকার কারণ সম্পর্কে ঢাকার কর্মকর্তারা বলছেন, মমতা পৃথক হোটেলে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করায় তার জন্য রেডিসনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদেরও মোদীর সফরসঙ্গী হিসেবে আসবেন বলে প্রথমে শোনা গেলেও এখন কর্মকর্তারা বলছেন, মমতা ব্যানার্জি ছাড়া অন্য কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এ সফরে আসছেন না।

এদিকে ঢাকা সফরের ২৪ ঘণ্টা আগে কলকাতায় ঢাকা-আগরতলা বাসযাত্রার সূচনা করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, রাজনীতি যাই থাকুক দুই দেশের মাটি এক, ভাষা এক, সংস্কৃতিও এক। তাই দুই বাংলাকে আর আলাদা করা যাবে না। ঐক্যবদ্ধভাবে দুই বাংলা এখন আরও নতুন নতুন রাস্তার পথ দেখাবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ আরও নিবিড় হচ্ছে ঘোষণা করে মমতা বলেছেন, রাজশাহী ও রংপুর দিয়ে মালদহ এবং শিলিগুড়ির পথে আরও দুটি বাসরুট চালুর প্রস্তাব চূড়ান্ত হতে চলেছে। দুই বাংলার মধ্যে যাতায়াতের জন্য আরও দুটি চেকপোস্টও চালু হচ্ছে। রাস্তা, বাড়ি ও ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা সবই সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

মমতা বলেন, কাল (আজ) বাংলাদেশে যাচ্ছি। ওখানে আরও নানা বিষয়ে কথা হবে। ৫৬ বছর ধরে স্থল সীমান্ত চুক্তি আটকে ছিল। এবার সেটা হবে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, তার জন্যই বাংলাদেশে যাচ্ছি। কয়েক হাজার ভারতবাসী আমাদের কাছে ফিরে আসবেন এটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই সফরে তিস্তা নিয়ে কোনো কথা যে হবে না তা আগেই জানিয়ে গিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বলেন, এই বিষয়টি (তিস্তা চুক্তি) তালিকায় নেই। তাই কথা হবে না।

অনুষ্ঠানে ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রদূত জকি আহাদ ও উপদূতাবাসের কর্মকর্তারা।

মমতা আজ রাতেই ঢাকায় পৌঁছবেন নিজের টিম নিয়ে। কাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাতেই তার কলকাতায় ফেরার কথা। শেখ হাসিনার সঙ্গে আলাদা করে একটি বৈঠকেও বসতে পারেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে মমতা তার সচিবালয় ‘নবান্ন’ থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকা দিয়ে আগরতলা পর্যন্ত বাসযাত্রার সূচনা করেন। বাসটির নাম মমতা দিয়েছে ‘সৌহার্দ্য’। স্বাধীনতার পর থেকেই ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতায় বাংলাদেশের দুই প্রান্তে রয়েছে কলকাতা ও আগরতলা। এবার এই বাস পরিষেবার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের যোগসূত্র হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছাড়া বাসে ৩৫ জন সাংবাদিক এবং কয়েকজন অফিসারও বাংলাদেশে আসছেন। সবাই ঢাকা হয়ে আখাউড়া দিয়ে আগরতলা যাবেন। ফিরবেন একই রুটে। শনিবার এই বাসটির ঢাকা থেকে আগরতলার উদ্দেশে যাত্রা সূচনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা, নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জি।

Leave a Reply