‘মোদির সফর, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে’
‘মোদির সফর, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে’
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সফরের ফলে বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন মাত্রা লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে ৬টি চুক্তি, ৬টি প্রটোকল ও ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার সংসদে বাজেট অধিবেশনে খুলনা-৪ আসনের এমপি এসএম মোস্তফা রশিদীর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সফরের ফলে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, সরকারি ও সাধারণ জনগণ পর্যায়ে যোগাযোগ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপর আগামীতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যা রয়েছে সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এতে উভয় দেশের জনগণের মাঝে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে দুই দেশের মধ্যে অনুসমর্থন উপকরণ বিনিময় হয়। এরমধ্যে দিয়ে উভয় দেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালের স্থল সীমানা চুক্তি এবং এর প্রটোকলটি কার্যকর করা সম্ভব হলো। ফলে ৬৮ বছর পর এ সমস্যার সমাধান হলো। শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ১১১টি ছিটমহলের আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ একর এবং জনসংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৬৯ জন। পক্ষান্তরে ভারতের অভ্যন্তরে অবস্থিত বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলের আয়তন ৭ হাজার ১১০ একর এবং জনসংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন। স্বাক্ষরিত প্রটোকল অনুযায়ী যে ছিটমহল যে দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত তা সে দেশেরই অন্তর্ভূক্ত হবে। এর ফলে বাংলাদেশ নিট ১০ হাজার ৫০ একর জমি বেশী পাবে। ছিটমহলে বসবাসকারী জনগণ সংশ্লিষ্ট ছিটমহল স্বাভাবিকভাবে যে দেশে অন্তর্ভুক্ত হবে স্থানান্তরের মাধ্যমে তিনি সে দেশের নাগরিক হবেন, তবে ইচ্ছা করলে তাদের পূর্ববর্তী দেশের নাগরিক হওয়ার সুযোগ থাকবে।