মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার উদ্বোধন

11/10/2013 1:41 pmViews: 13

Mayor-Hanif-Flyover--Opensপ্রতিবেদক : মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার (গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারের কুতুবখালী প্রান্তে ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১০ সালের ২২ জুন তিনিই ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন।

৪ লেন বিশিষ্ট এই ফ্লাইওভারে ৬টি প্রবেশপথ ও ৭টি বের হওয়ার পথসহ মোট ১৩টি ওঠানামার পথ রয়েছে।

ফ্লাইওভারটি চালু হলে গুলিস্তান থেকে কুতুবখালী ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলীয় এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৩০টি জেলায় যাতায়াতে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে। বিশেষ করে রাজধানীর কুতুবখালী-যাত্রাবাড়ী অংশে যানজট কমে যাবে।

ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই ফ্লাইওভারের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে ২১০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি নির্মিত হচ্ছে। ২০১০ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণে জন্য বিশ্বব্যাংক ১৯৯৮ সালে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। পরে চারদলীয় জোট সরকারের আমলে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে ‘যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান’ ফ্লাইওভার নির্মাণের চুক্তি হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্মাণকাজ শুরু হয়।

প্রকল্প পরিচালক জানান, নির্মাণ ব্যয় ও দৈর্ঘ্য বাড়লেও ২০০৫ সালে নির্ধারিত টোলের হারই এখন পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছে। এই হার হচ্ছে বড় বাস ১৫০, মিনিবাস ১০০, ট্রাক ১৫০, মিনি ট্রাক ১০০, কার ৩০, জিপ ৪০, মাইক্রোবাস ৫০, পিকআপ ৭৫, থ্রি হুইলার ১০, মোটরসাইকেল ৫ ও ট্রেইলার ২০০ টাকা।

ফ্লাইওভারে ওঠার সময় টোল দিতে হবে না। নামার সময় সাতটি বেরোনোর পথে টোল দিতে হবে।

এই ফ্লাইওভারের ধারণক্ষমতা ২০ মেট্রিক টন এবং স্থায়ীত্বকাল ১০০ বছর। মহাজোট সরকার ২০১০ সালের ২২ জুন ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্লাইওভারের আগের নাম পরিবর্তন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার নামকরণ করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নির্মাণাধীন এই ফ্লাইওভারের মাত্র ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। গুলিস্তান থেকে সরাসরি যাত্রাবাড়ী অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ উদ্বোধনের পর সম্পন্ন করা হবে।

ফ্লাইওভারের গুলিস্তান থেকে ডেমরা অংশ, যাত্রাবাড়ী থেকে সায়েদাবাদ বিশ্বরোডের অংশ ও যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান পার হয়ে আলুবাজার লেনের অংশে কাজ এখনো শুরু হয়নি।

Leave a Reply