মেয়র নাছিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

28/06/2015 4:28 pmViews: 8

মেয়র নাছিরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

আ জ ম নাছির উদ্দিন। ফাইল ছবি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুই দশক আগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক দুই কর্মী। তাঁরা জানিয়েছেন ওই দিন সমাবেশে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। এরই মধ্যে দিয়ে আজ রোববার এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্তি ঘোষণা করেন আদালত।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল হুদার আদালত আগামী ৭ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবুল হাশেম জানান, আদালত দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করেন। মামলায় মোট ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। ৭ জুলাই পরবর্তী ধার্য দিনে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষা করা হবে। অর্থাৎ​ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ও জেরায় উঠে আসা বক্তব্যগুলো পড়ে শোনাবেন। পরে আসামিরা দোষী না নির্দোষ তা আদালতকে জানাবেন। এমনকি আসামিরা কোনো সাফাই সাক্ষীকে হাজির করবেন কি না সেই তালিকা দেবেন আদালতে।
আ জ ম নাছির মেয়রের পাশাপাশি চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীও রয়েছেন। এ দুজনই আজ উপস্থিত না থাকায় তাঁদের আইনজীবী সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

আসামির আইনজীবী চন্দন বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানান, সাক্ষী আবদুল হাই ও মাহবুবুল হক ভুঁইয়া আদালতকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তাঁরাও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে কোনো মারামারি কিংবা বিশৃঙ্খলা হয়নি। মামলার বাদীকে (সুফিয়ান সিদ্দিকী) কেউ মারধর করেনি। দুই সাক্ষীই ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী ছিলেন।

১৯৯৩ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় তৎকালীন নগর ছাত্রলীগের নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীর ওপর অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুফিয়ান সিদ্দিকী কোতোয়ালি থানায় নাছিরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৯৯৪ সালে এ মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তা প্রত্যাহার হয়।
এ মামলায় গত ১ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন নাছির। ৬ এপ্রিল মামলার বাদীকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। জেরার সময় বাদী দাবি করেন তৎকালীন বিএনপি সরকারের চাপে পড়ে মামলাটি করেছিলেন তিনি।

Leave a Reply