মেট্রোয় চড়ে শপথে যাবেন কেজরিওয়াল
শুধু ভারত নয়, বিশ্বের সংসদীয় গণতন্ত্রে নজির গড়তে চলেছেন কেজরিওয়াল। মাত্র ১১ মাস বয়সী কোনো দল এই প্রথম সরকার গড়ছে আগামীকাল। শুধু তাই নয়, এই প্রথম কোনো প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে শপথ নিতে সারি সারি গাড়ির কনভয়ে নয়, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী তার কৌশাম্বীর বাসভবন থেকে রামলীলা ময়দানে কাঁটায় কাঁটায় দুপুর ১২টায় পৌঁছাবেন মেট্রা রেলে চড়ে। তার মন্ত্রীরাও তা-ই। গতকাল কৌশাম্বীতে দিল্লিবাসীর অভাব-অভিযোগ শুনতে ‘জনতা দরবার’-এর আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি এবং আম আদমি পার্টির অন্য বিধায়করা মেট্রো রেলে করে রামলীলা ময়দানে পৌঁছাব।’ জনতা দরবারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন যে কতটা ক্ষয়িষ্ণু এ দরবারই তার প্রমাণ। মানুষ সাধারণ কর্মীদের ওপর ভরসা করতে না পেরে সমস্যা নিয়ে একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করছেন।’ তার মতে বেশির ভাগ সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব।
শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে রামলীলা ময়দানে এখন সাজ সাজ রব। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গান্ধীবাদী নেতা আন্না হাজারেকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও শারীরিক কারণে তিনি আসতে পারবেন না। একই সঙ্গে আন্নার সাথী কিরণ বেদী অনুপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, আগামীকাল রামলীলা ময়দানে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার ছয় মন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন দিলি্লর লেফটেন্যান্ট জেনারেল নজিব জং। কেজরিওয়াল ছাড়াও কাল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিচ্ছেন তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মণীশ শিশোধিয়া, সোমনাথ ভারতী, সৌরভ ভরদ্বাজ, সতেন্দ্র জৈন, গিরীশ সোনি ও রাখি বিড়লা। এদিকে নির্বাচনের আগে দিলি্লবাসীকে বিদ্যুৎ খরচ ৫০ শতাংশ কমানো, প্রতিটি গৃহস্থ পরিবারকে ৭০০ লিটার পানীয় জল সরবরাহ করাসহ দলের পক্ষ থেকে যে ১৮টি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা রাখা কতটা সম্ভব হবে তা-ই এখন বড় প্রশ্ন। যদিও দল আত্দবিশ্বাসী- প্রতিশ্রুতিগুলো পূরণ করা হবে। ৭০ আসনবিশিষ্ট দিলি্ল বিধানসভায় ৩২টি আসন পায় বিজেপি। ২৮টিতে জিতে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আম আদমি পার্টি, অন্যদিকে তিনবারের ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের সংগ্রহে মাত্র ৮টি আসন। নির্বাচনে এককভাবে বেশি আসন লাভ করলেও সরকার গড়ার মতো প্রয়োজনীয় সংখ্যা না থাকায় সরকার গঠনে অস্বীকার করে বিজেপি। এর পরই দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গঠনে এগিয়ে আসে আম আদমি পার্টি।