মৃতদেহ ভক্ষণ!
কবর থেকে তুলে এনে এক শিশুর মাংস ভক্ষণ করেছে সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান পুলিশ। ধৃত মোহাম্মাদ আরিফ আগেও নর মাংস ভক্ষনের কথা স্বীকার করেছে।
এর আগে ২০১১-তে কবর থেকে চুরি করে তুলে এনে এক মৃত মহিলার দেহ ভক্ষণের অপরাধে আরিফ ও তার ভাই মোহাম্মাদ ফারমান আলির দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। জেল থেকে বেরিয়ে এসে আবার সেই একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি।
সোমবার প্রতিবেশীরা আরিফদের বাড়ি থেকে পচা মাংসের গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে এক শিশুর কাটা মাথা উদ্ধার করে। এরপরই পুলিশ আরিফকে গ্রেফতার করে। ২০১১-তে আরিফরা এক মহিলাদের পা কেটে ঝোল বানিয়ে খেয়েছিল বলে স্বীকার করেছিল।
এই ঘটনায় কবরের পবিত্রতা বজায় রাখার আইনে দুই ভাইকে কারাদণ্ড দেয় আদালত। কারণ নর মাংস ভক্ষণ ঠেকানো সংক্রান্ত কোনও আইন নেই।
দারয়া খানের পুলিশ সুপার আমীর আবদুল্লা খান জানিয়েছেন, আরিফদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি দু-তিন বছরের শিশুর ছিন্ন মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, সম্ভবত তারা কবর থেকেই ওই মরদেহটি চুরি করে এনেছে। কিন্তু ওই শিশুর পরিচয় বা কোন কবর থেকে চুরি করা হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
তল্লাশির সময় আরিফ বাড়িতে ছিল। তাই সে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। কিন্তু ফারমান আলি পলাতক। আরিফ ওই শিশুর দেহ কেটে রান্নার কথা স্বীকার করেছে। তবে সব দোষ সে তার ভাই ফারমানের ওপরই চাপিয়ে দিয়েছে।