মুসলমান প্রতিনিধি হিসেবে আনসই প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটেনের কোনো বড় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন: আনাস সারওয়ার
স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে বড় রদবদল। আর তাতেই গুরু দায়িত্ব পেলেন আনাস সারওয়ার। স্কটিশ লেবার পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এশীয় বংশোদ্ভূত এবং মুসলমান প্রতিনিধি হিসেবে আনসই প্রথম ব্যক্তি যিনি ব্রিটেনের কোনো বড় দলের নেতা নির্বাচিত হলেন। আগামী ৬ মে স্কটল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচন।
দলীয় ভোটাভুটিতে আনাস ভোট পেয়েছেন ৫৭.৬ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মণিকা লেনন পেয়েছেন ৪২.৪ শতাংশ ভোট। দলনেতা নির্বাচিত হওয়ার পর আনাস বলেন, ‘দেশবাসীর উদ্দেশে আমি সরাসরি বলতে চাই জনগণের বিশ্বাস ফিরে পাওয়ার জন্য লেবার পার্টির অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আমরা যদি আগাগোড়া সৎ হই, তাহলে বুকে হাত রেখে বলতে পারি স্কটিশ লেবার পার্টির জন্য যা যা করণীয় তা হয়নি। দেশজুড়ে যেভাবে বৈষম্য, অবিচার এবং বিভাজন বাড়ছে, সেজন্য আমরাই দায়ী। আর তা দূর করতে দিন-রাত এক করে কাজ করব। আমাদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলব।’
কিন্তু, ব্রিটেনের প্রথম সারির দলের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ নেতা নির্বাচিত হওয়া নিয়ে কী বলবেন? জবাবে আনাস বলেন, স্কটল্যান্ড ও দেশের জনতা কতটা মহান এই সিদ্ধান্ত তারই প্রমাণ। আনস নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে স্বাগত জানিয়েছেন স্কটল্যান্ডের বিচারপতি তথা স্কটিশ পার্লামেন্টের সদস্য হামজা ইউসুফ। করোনা মহামারীর জেরে এবারের দলীয় নেতা নির্বাচন জৌলুস হারালেও দেশবাসীর আগ্রহ ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কটিশদের স্বাধীনতার দাবি দীর্ঘদিনের। যদিও এই স্বাধীনতার অর্থ দেশভাগ। তাই স্বাধীনতাপন্থীদের সেই দাবি সরিয়ে রেখে করোনা মোকাবিলার ওপর গুরুত্ব দেয়ার আর্জি জানিয়েছেন আনস।
পাকিস্তানি মা-বাবা সন্তান হলেও গ্লাসগোতে জন্মগ্রহণ করেন আনাস। ২০০৫ সালে দন্ত চিকিৎসার সাধারণ ডিগ্রি নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। ২০১০ সাল পর্যন্ত পাইসলেতে এনএইএস কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে স্কটিশ লেবার দলের সদস্যপদ গ্রহণ করার পর ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত গ্লাসগো সেন্ট্রালের এমপি ছিলেন আনাস।