মুরাদনগরে স্কুল মাঠের মাটি কেটে নিলেন ঠিকাদার
শ্রেণি কক্ষ অভাবে নতুন ভবন পেলে দূর হয় শ্রেণি সংকট। তবে নতুন ভবন নিমার্ণের জন্য স্কুল কতৃপক্ষকে না জানিয়ে ৬ফিট গভীর পর্যন্ত গর্ত করে মাঠের মাটি কেটে জলাশয়ের সৃষ্টি করেছেন ঠিকাদার! ফলে বিদ্যালয়ের দুই শতাধীক কোমলমতি শিক্ষার্থী বিপদের সঙ্কায় খেলাধুলা করতে মাঠে নামতে দিচ্ছেনা শিক্ষক ও অভিভাবকরা। এত করে যে কোন সময় ঘঠতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। স্কুলে আসা শিক্ষার্থীদের নিয়ে সঙ্কিত শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তবে রহস্যজনক কারণে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
এ ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভিটি পাচঁপুকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, ঠিকাদার কোন রকম যোগাযোগ না করেই করোনা ভাইরাসের সময় জখন স্কুল বন্ধ ছিলো তখনই মাঠের মাটি কেটে নিয়েছে। বার বার মৌখিক ভাবে ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলির সাথে যোগাযোগ করা হলে বার বার কাল খেপন করছেন! অবশেষে এক প্রকার বাধ্য হয়েই উপজেলা শিক্ষা অফিসার উপজেলা মাসিক সভায় উথ্যাপন করার পরও ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলী এ বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় জনমনে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিটি পাঁচপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কামরুন্নাহার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০২০ সালে বিদ্যালয়ে একটি নতুন ভবনের কাজ শুরু হয়। গত ৮ মাস আগে সেই ভবনে মাটি লাগবে এমন অজুহাতে করোন কালীন সময়ে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় মাঠের মাটি কেটে নিয়ে যায় ঠিকাদার। বিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি রেজুলেশন আকারে আনা হয়েছে। তখন ঠিকাদার বলেছিলেন বিদ্যালয় খোলা মাত্রই তিনি মাটি ভরাট করে দিবেন। কিন্তু বিদ্যালয় খোলার দীর্ঘ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত গর্তটি ভরাট করা হয়নি। এ বিষয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস মফিজুল ইসলাম খাঁন এর সাব-ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাটি কেটে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটি এমন কোন গর্ত নয়! কারোর কোন ক্ষতি হবে না! প্রয়োজনে মাটি কেটে নিয়েছিলাম কিছুদিনের মধ্যেই আবার ভরাট করে দিব। গর্তের ফলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নিবে? জানতে চাইলে, তিনি জবাবে বলেন আরে নাহ কোন সমস্যা হবে না!
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর কবির বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার সাথে কয়েকবার মৌখিক আলোচনা হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। দেখি ঠিকাদারের সাথে কথা বলে খুব দ্রুতই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফওজিয়া আকতার বলেন, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমাকে জানানোর পর আমি যতবার বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি তারা ততবারই খুব দ্রুত ভরাট করে দেবে বলতেন। পরে বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হলে ভরাট করে দেয়ার বিষয়ে একইভাবে আশ্বস্ত করেন উপজেলা প্রকৌশলী। যেহেতু মৌখিকভাবে সহযোগিতা চেয়েও কানো ভালো ফলাফল পাইনি। খুব দ্রুতই এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হবে।