মুরাদনগরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন
কুমিল্লা (ব্যুরো চীফ) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন কুরুন্ডী গ্রামে গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) জালাল ভূইয়া (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ী জালাল ভূইয়া কুরুন্ডী গ্রামের মৃত জুলু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে কুরুন্ডী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী। এতে বক্তব্য দেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান, ইউপি সদস্য সবুজ ভূইয়া, মহন ভূইয়া, আক্কাস ভূইয়া, আলমগীর হোসেন, রফিয়া খাতুন, তানজিনা খাতুনসহ আরো অনেকেই।
জালাল ভূইয়ার ভাই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাড়ীর পাশেই আমার ভাইয়ে দোকান। শুক্রবার বিকেলে দোকানের পাশের রুপ মিয়ার বাড়ীতে বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলাকে নিয়ে একই গ্রামের মুক্তু মিয়ার ছেলে সুমনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। জালাল পরে কথা কাটাকাটি স্থান ত্যাগ করে জালাল তার দোকানে চলে আসে পরে সুমন আবারো তার সাথে ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া বাজায়।
এসময় উপস্থিত লোকজন জালাল আর সুমনের মধ্যে মিমাংশা করে দেয়। সুমন সেখান থেকে চলে গিয়ে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তার ভাই কাজল, ইউসুফ, শিবির মিয়া, রুপ মিয়া তার ছেলে আল আমিন, সুজন ও মাতু মিয়ার ছেলে সাইদুলসহ ৪ থেকে ৫ জন ব্যাক্তি জালালের দোকানে এসে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুত্বর জখম করে সুমন সহ তার সঙ্গীয় দলবল জালালকে আহত অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়।
স্থানীয় লোকজন জালালকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাদেরও জীবননাশের হুমকি দেয় সুমন ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী লোকজন। এ ঘটনায় ব্যবসায়ী জালালের ভাই জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঙ্গরা বাজার থানায় ৯ জনের না উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রিয়াজ উদ্দীন চৌধূরী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা সবাই পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা অভিযান অব্যাহত।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জালাল ভূইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। কুরুন্ডী এলাকার একদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে! এরা কিছুদিন পরপর একেবারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে গ্রামের নিরীহ লোকজনের উপর হামলা চালায়। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ প্রয়োজনে এ গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে হলেও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ এসব সন্ত্রাসীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কারো সাথেই মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।