মুরাদনগরে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার, আন্তঃ জেলা ডাকাত সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
মুরাদনগরে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার,
আন্তঃ জেলা ডাকাত সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪
দেলোয়ার হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকায় চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উদ্ধার এবং আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যসহ ৪জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে উপজেলার সলপা, দৌলতপুর ও নবীনগর উপজেলার জল্লি গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের সলপা গ্রামের মোস্তফার ছেলে আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মামুন(৩১), উপজেলার টনকী গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে আন্তঃ জেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য মাইনউদ্দিন(৪২), একই গ্রামের হোসেন সরকারের ছেলে মামুন সরকার(৩৩), ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জল্লি গ্রামের খিতিশ দত্তের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিন্টু দত্ত(৪০)।
জানা যায়, ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার পলাতক আসামি ও আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মামুন উপজেলার সলপা বাজারে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাঙ্গরাবাজার থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম, রনি চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ সোমবার রাতে সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত মামুন মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় এসআই জাহাঙ্গীর একটি মোটরসাইকেল নিয়ে তার পিছনে ধাওয়া করে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
অপর দিকে কিছুদিন পূর্বে পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের খোষঘর গ্রামের চুরির ঘটনার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঙ্গরাবাজার থানার এসআই কৃষ্ণ মোহন সোমবার রাতে উপজেলার দৌলতপুর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃ জেলা চোর চক্রের দুই সদস্য মাইনউদ্দিন ও মামুন সরকারকে গ্রেপ্তার করে। এসময় চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি কাঁটার মেশিন ও একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তাদের দেয়ার তথ্যমতে চোরাই স্বর্ণ কেনার অপরাধে সোমবার মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার জল্লি গ্রামের খিতিশ দত্তের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিন্টু দত্ত(৪০)কে আটক করে। এসময় তাহার নিকট হতে এক ভরি বারো আনা চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে।
বাঙ্গরাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ডাকাত সদস্য মামুনের বিরুদ্ধে রাঙ্গামাটি জেলার বেতবুনিয়া থানার ডাকাতি মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। এছাড়াও বাঙ্গরা থানায় গত দুই এপ্রিলের ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার পলাতক আসামী। ডাকাত সদস্য ও চোরাই চক্রের সদস্যদের মঙ্গলবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।