সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর কথা গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান মুন্নী সাহা ‘র বিরুদ্ধে /
মুন্নী সাহা গোপনে কথা ধারণ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নির্দেশে নিরাপত্তা রক্ষীরা তার কাছ থেকে ভিডিও টেপটি চেয়ে নেন।
বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাতপর্বে এ ঘটনা ঘটে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎপ্রার্থীদের একজন ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি বলেন, “মুন্নী সাহা যখন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলছিলেন, সে সময় সেখানে ছিলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরীও। কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার পরই এসএসএফ’র একজন অফিসার গোপন রেকর্ডার থেকে টেপ মুছে ফেলেন। সে সময় মুন্নী সাহা দু:খ প্রকাশ করে চলে যান।”জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন বলেন, “ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের একজন আমাকে তা জানান। বিষয়টি আমাকেও ব্যথিত করেছে। কারণ, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মত মিডিয়া ফ্রেন্ডলি প্রধানমন্ত্রী খুব কমই দেখা যায়।” মুন্নী সাহা বলেন, “গোপনে আমি কোনোকিছু ধারণ করিনি। আমার সঙ্গে ক্যামেরাম্যানও ছিল। সাক্ষাৎকার নেয়ার শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী পানি খাওয়ার জন্য থামলে তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী আমাকে বলেন, ‘সব কথাই তো রাজনৈতিক বিষয়ে হল। সাউথ সাউথ পুরষ্কারসহ এখানের কোনো বিষয়ই তো আসল না।’ তখন ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলে উঠেন, ‘এটা প্রচার না করাই ভাল।’ তখন এসএসএফ’র একজন টেপটি রেখে যেতে বললে আমি তার হাতে দেই।”১৩৩ জনের প্রতিনিধি বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক যান। প্রতিনিধি দলে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছে।